এবার গুণমান পরীক্ষায় ডাহা ফেল গুজরাটে তৈরি শ্যাম্পু! বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের
প্রতিদিন | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
অভিরূপ দাস: নিকৃষ্ট মানের ওষুধ বাজেয়াপ্ত হয়েছিল আগেই। এবার গুজরাটের আহমেদাবাদে তৈরি খুসকির শ্যাম্পুও গুণমানের পরীক্ষায় ডাহা ফেল। ল্যাবরেটরিতে দেখা গিয়েছে, তার অম্লতা এবং ক্ষারের মাত্রা ঠিক নেই।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড সার্কুলার জারি করে জানিয়েছে, পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতারা যাতে কোনওভাবেই এই পণ্য বিক্রি না করে। যে কোনও ধরণের সরকারি বা বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও যেন এই পণ্য বিক্রি করা না হয়। প্রকাশ করা হয়েছে ওই শ্যাম্পুর ব্যাচ নম্বরও।
রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড সূত্রে খবর, ওই শ্যাম্পু প্রস্তুতকারক সংস্থার নাম মরভিন ইন্ডিয়া হেলথ কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড। অবস্থিত আহমেদাবাদের সানন্দে। সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অথরিটি প্রথম ওই শ্যাম্পুতে গোলযোগ ধরে। সেখান থেকে নোটিস আসে বঙ্গের ড্রাগ কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে। সমস্ত দোকান থেকে ওই ব্যাচ নম্বরের বিশেষ শ্যাম্পু সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
সবশুদ্ধ ১৪১ টি ওষুধ এবং প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। তার মধ্যে রয়েছে, অ্যামক্সিসিলিন পটাশিয়াম ক্লভুলানেট উপাদানের অ্যান্টিবায়োটিক। যার ব্যাচ নম্বর MICTAB 2424। মহিলাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট (ব্যাচ নম্বর FTV25002)। পেটে আলসারের ওষুধ ওমেপ্রাজোল ক্যাপসুল (ব্যাচ নম্বর 153/25)। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের সার্কুলার অনুযায়ী, একটি ওষুধও বাংলায় তৈরি হয়নি। সবই বাংলায় প্রবেশ করেছে গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড থেকে। কোন পথে তা বাংলায় ঢুকল তা তদন্ত করছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড।
একাধিক ওষুধ যেমন ল্যাবরেটরিতে মান উত্তীর্ণ হওয়ার পরীক্ষায় ডাহা ফেল। তেমনই সন্দেহজনক কিছু ওষুধের ফলাফল এখনও হাতে আসেনি। চিন্তা বাড়িয়েছে সেই তালিকাও। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের নয়া সার্কুলারে এমন একটি ওষুধের নাম উঠে এসেছে যা বাংলার ঘরে ঘুরে সুপরিচিত। সংশয় উদ্রেককারী সেই প্যান্টোপ্রাজল গ্যাস্ট্রো রেজিস্ট্যান্ট ট্যাবলেট বা প্যান ফর্টি বাজেয়াপ্ত হয়েছে চন্ডীগড় থেকে। সূত্রের খবর, ওই প্যান ফর্টি ওষুধের স্ট্রিপে যে সংস্থার উল্লেখ রয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা সাফ জানিয়েছে, ওই ওষুধ তাদের তৈরি নয়। অন্য কোনও জাল সংস্থা ব্যাচ-লেবেল এক রেখে হুবহু নকল ওষুধ তৈরি করেছে। গোটা বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন বলে জানিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড।