• থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে ভাঙা হলো বিষ্ণু মূর্তি, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের
    এই সময় | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে বিতর্কিত এলাকায় ভাঙা হয়েছে বিষ্ণু মূর্তি। এই মূর্তি ভাঙার নিন্দা জানিয়েছে ভারত। বিষ্ণু মূর্তি ভাঙা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।

    বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই রকমের কাজ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। একই সঙ্গে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া সীমান্তের বিতর্কিত অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনার দেখা দেওয়াও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিদেশ মন্ত্রক। উভয় পক্ষকে আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বানও জানানো হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।

    প্রসঙ্গত, দুই দেশের সীমান্তে বিষ্ণু মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। এখন দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বুধবার সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে বিষ্ণু মূর্তি ভাঙার ভিডিয়ো। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে মূর্তি ভাঙার দৃশ্য দেখার পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, সমগ্র অঞ্চল জুড়ে গভীরভাবে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা হয় বিষ্ণুকে। তা একটি সভ্যতাগত ঐতিহ্যের অংশ।

    একটি বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই অঞ্চলের মানুষ হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতাদের শ্রদ্ধা ও পূজা করে। তার পরেও থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অবস্থিত একটি হিন্দু ধর্মীয় দেবতার মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই রকমের কাজ থেকে সকলের বিরত থাকা উচিত বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। এরই সঙ্গে উভয় পক্ষকে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সেখানে শান্তি পুনঃস্থাপনের এবং আরও কোনও প্রাণহানি, সম্পত্তি ও ঐতিহ্যের ক্ষতি এড়াতে আহ্বান জানানো হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।

    উল্লেখ্য, ওই মূর্তি ভাঙার জন্য বুধবারই থাইল্যান্ডের সমালোচনা করে কম্বোডিয়া। ওই বিষ্ণু মূর্তি তাদের এলাকার মধ্যে আন সেস অঞ্চলে অবস্থিত বলে জানিয়েছেন কম্বোডিয়ান মুখপাত্র কিম চানপানহা। যদিও এই নিয়ে থাইল্যান্ডের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

  • Link to this news (এই সময়)