রিফান্ড ক্লেম ‘স্থগিত’ বার্তায় বিভ্রান্তি, আতঙ্ক কাটাতে ব্যাখ্যা আয়কর দপ্তরের
বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: আয়কর রিটার্নে (আইটিআর) গরমিল! আয়কর দপ্তর থেকে আসা এরকম একটি বার্তা ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। চলতি সপ্তাহে এসএমএস ও ইমেলের মাধ্যমে আয়কর দপ্তরের সতর্কবার্তা পেয়ে আতঙ্কিত বহু আয়করদাতা। অনেকেই বলছেন, ওই বার্তায় ‘আয়ডেন্টিফায়েড আন্ডার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট প্রসেস’ বলে একটি শব্দবন্ধের ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি বোধগম্য না হওয়ায় বহু আয়করদাতাই চিন্তায়। ওই সতর্কবাতায় আরও বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট অসংগতির কারণে আইটিআর রিফান্ড ক্লেমের প্রক্রিয়া ‘স্থগিত’ রাখা হয়েছে। কিন্তু আচমকা এরকম বার্তা? বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক কাটাতে এবার সক্রিয় হল খোদ আয়কর দপ্তরই। প্রেস বার্তা প্রকাশ করে কর কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
আয়কর দপ্তরের আর্জি, চলতি অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারের জন্য ট্যাক্স ডিডাকশন ও ছাড় সংক্রান্ত দাবিদাওয়াগুলির পুনর্মূল্যায়ন করুন। যদি কোনও ভুলভ্রান্তি থাকে, ৩১ ডিসেম্বরের রিভাইসড ডেডলাইনের আগেই সেগুলি শুধরে নিন। জরিমানা ও পরবর্তী স্ক্রুটিনি এড়াতেই এই সতর্কবার্তা বলে স্পষ্ট করা হয়েছে আয়কর বিভাগের তরফে।
আয়কর দপ্তর জানিয়েছে, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে তাদের ‘অ্যাডভান্সড রিস্ক অ্যানালিটিকস’-এ ২০২৫-২৬ অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারে সুনির্দিষ্ট একঝাঁক আইটিআরের ক্ষেত্রে এই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে তা করা হয়েছে? কর কর্তৃপক্ষ এরকম একাধিক নমুনার উদাহরণ দিয়েছে। যেমন, অস্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিকে (আরইউপিপি) জাল অনুদানের নামে অন্যায্য ডিডাকশন বা ছাড়ের দাবি। আবার কিছু রিটার্নের ক্ষেত্রে ভুল বা অবৈধ প্যান তথ্যের মতো ভ্রান্তি রয়েছে। ডিডাকশন বা ছাড়ের পরিমাণ সংক্রান্ত অসংগতি। আয়কর দপ্তরের এনইউডিজিই (নন-ইনট্রুসিভ ইউসেজ অব ডেটা টু গাইড অ্যান্ড এনাবল) কর্মসূচির অধীনেই এইসব ক্ষেত্রে রিটার্ন পুনর্মূল্যায়নের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ, তদন্ত এড়াতে প্রয়োজনে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রিভাইসড আইটিআর করতেও বলা হয়েছে।