• দেশের একাধিক রাজ্যে বেড়েছে বিদেশি ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা, তালিকায় পশ্চিমবঙ্গও
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশের বেশ কিছু রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিদেশি ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। সোমবার এক রিপোর্ট প্রকাশ করে জানাল নীতি আয়োগ। ‘ভারতের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির আন্তর্জাতিকীকরণ’ শীর্ষক ওই রিপোর্ট প্রকাশ করেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান সুমন বেরি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দেশের যেসব রাজ্যে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিদেশি পড়ুয়া বেড়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। ২০১২-১৩ থেকে ২০২১-২২ এই দশ বছরের সমীক্ষা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যেখানে আগে ৭৯০ জন বিদেশি ছাত্রছাত্রী পড়তে এসেছিলেন, সেখানে সমীক্ষা পর্বে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৪৮। পশ্চিমবঙ্গের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের পাশাপাশি রামকৃষ্ণ মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ সহ ১৬০ টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমীক্ষা চালিয়ে এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে।

    সবচেয়ে বেশি বিদেশি পড়ুয়া এসেছে পাঞ্জাবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। নীতি আয়োগের রিপোর্ট বলছে, উল্লেখিত সমীক্ষার সময়কালে পাঞ্জাবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদেশি ছাত্রছাত্রীর সংখ্যার হার বেড়েছে ৩০০ শতাংশ। ছিল ১ হাজার ৩৯৭। হয়েছে ৫ হাজার ৮৪৭। একইভাবে দিল্লিতে ১ হাজার ৮০৩ থেকে বিদেশি ছাত্রছাত্রী বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭২৭। অন্ধ্রপ্রদেশে ৬৮০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ১০৬। গুজরাতে ৫৫৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৪২২। 

    বিদেশি পড়ুয়াদের নতুন গন্তব্য হিসেবে ক্রমশ নিজের জায়গা করে নিচ্ছে উড়িশা এবং হরিয়ানা। নীতি আয়োগের ১০ বছরের সমীক্ষার সময়কালে উড়িশায় বিদেশি পড়ুয়ার সংখ্যা ২৩ থেকে হয়েছে ২ হাজার ৩২০। ‌একইভাবে হরিয়ানায় ৫২৮ থেকে ১ হাজার ৬৮৯। অন্যদিকে, তামিলনাড়ু আর কর্ণাটকের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কমেছে বিদেশি পড়ুয়ার সংখ্যা। 

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে কর্ণাটকে বিদেশি পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ১৮২। সেখানে ২০২১-২২ সালে তা কমে হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৪। একইভাবে তামিলনাড়ুতে ৪ হাজার ৩২৩ থেকে কমে হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৬। আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতে কমপক্ষে ৩ লক্ষ ১৩ হাজার বিদেশি পড়ুয়া আনার টার্গেট নিয়েছে সরকার। যদিও নীতি আয়োগের রিপোর্ট আবার এও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের হিসেব মোতাবেক ভারত থেকে ১৩ লক্ষ ৩৫ হাজার পড়ুয়া বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)