• এয়ার পিউরিফায়ারের জিএসটি কমান, নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দিল্লি, এনসিআরের দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে এবার জোড়া অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হল কেন্দ্রের মোদি সরকারকে। একদিকে মোদি মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নীতিন গাদকারি দিল্লি দূষণ নিয়ে মন্তব্য করে বিজেপি সরকারকেই ব্যাকফুটে ঠেলে দিলেন। অন্যদিকে বুধবার মহার্ঘ এয়ার পিউরিফায়ার নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের তীব্র তোপের মুখে পড়তে হল কেন্দ্রকে। যদিও দিল্লি এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে এদিন বিকেলের পর শহরের দূষণ পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। ফলে এই সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আংশিক প্রত্যাহার করেছে দিল্লি সরকার। 

    বুধবার এয়ার পিউরিফায়ারের দামে ১৮ শতাংশের পরিবর্তে পাঁচ শতাংশ জিএসটি কার্যকরের আর্জিতে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছিল দিল্লি হাইকোর্টে। সেখানেই দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবেন্দ্রকুমার উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলে, আপনারা দূষণ কমাতে চরম ব্যর্থ। কিন্তু তা সত্ত্বেও এয়ার পিউরিফায়ারের জিএসটি সর্বোচ্চ রেখে মুনাফা করছেন? এয়ার পিউরিফায়ার কি এখন বিলাসিতার মধ্যে পড়ে? অবিলম্বে জিএসটি কমান। দিল্লি হাইকোর্টের ওই ডিভিশন বেঞ্চ এদিন তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, বিশুদ্ধ অক্সিজেন গ্রহণ করা প্রত্যেকের অধিকার। অন্তত তা যখন আপনারা দিতে পারছেন না, তখন এয়ার পিউরিফায়ারের জিএসটি কমানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ করুন। হিসেব করুন, আমরা প্রতিদিন কতবার নিঃশ্বাস নিই। তাহলেই শারীরিক ক্ষতির ছবি পরিষ্কার হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ওই জনস্বার্থ মামলার আবেদনে এয়ার পিউরিফায়ারকে ‘মেডিকেল ডিভাইসে’র আওতাভুক্ত করার আর্জিও জানানো হয়েছে। সেইমতোই এদিন দিল্লি হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, অবিলম্বে কাউন্সিলের বৈঠক করে এয়ার পিউরিফায়ারের জিএসটি সর্বনিম্ন অথবা একেবারে শূন্যে নামিয়ে আনা প্রয়োজন। সরকারি সূত্রের খবর, এদিন বিকেলেই এই ব্যাপারে আদালতের পর্যবেক্ষণ নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা করেছে কাউন্সিল। 

    অন্যদিকে, দূষণ নিয়ে কেন্দ্রকে প্রবলভাবে কোণঠাসা করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গাদকারির মন্তব্যও। মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে গাদকারি বলেন, এখানে দু’দিন থাকলে গলায় ইনফেকশন হয়ে যায়। আমারও তাই হয়েছে। দিল্লি পুরো দূষণে ভরে গিয়েছে। এমনকি আত্মসমালোচনায় নিজের মন্ত্রককেও রেয়াত করেননি গাদকারি। বলেন, আমি নিজে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক দেখি। অথচ দূষণের ৪০ শতাংশই এহেন যানবাহন থেকে ছড়ায়। তবে দিল্লি, এনসিআরের দূষণ পরিস্থিতির সাময়িক উন্নতি হওয়ায় শহরে যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা কিছুটা প্রত্যাহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। 
  • Link to this news (বর্তমান)