সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি, নজর বিকশিত ভারতে
বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সন্দীপ স্বর্ণকার, নয়াদিল্লি: গড়তে হবে বিকশিত ভারত। তাই পশ্চিমবঙ্গ সহ সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে তিনদিনের বিশেষ সম্মেলনে ডাকল নীতি আয়োগ। আগামী ২৬-২৮ পুসার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচার রিসার্চের (আইসিএআর) ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল সায়েন্স কমপ্লেক্সে ওই হাই-প্রোফাইল সম্মেলন হবে। রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দেখা করবেন তিনবার। প্রাতরাশ এবং নৈশভোজে নরেন্দ্র মোদি মুখ্যসচিবদের সঙ্গে কথাও বলবেন। জানতে চাইবেন কোন রাজ্যের কী হাল? কোন প্রকল্পের কী অগ্রগতি। এছাড়া বিকশিত ভারত গড়ার দাওয়াই দিতে সম্মেলনের শেষদিন বিকেলে নরেন্দ্র মোদি ভাষণ দেবেন। শুনবেন মুখ্যসচিবরা। তুলবেন গ্রুপ ফটোও।
তবে সম্মেলনে স্রেফ আলোচনা, ফাইল ঘাঁটা, নোট নেওয়াই নয়। রাজ্যের মুখ্যসচিবদের ‘রিল্যাক্সে’র ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া হবে উত্তরপ্রদেশের মিরাট। ভ্রমণ কর্মসূচি দিল্লি-মিরাট রিজিওনাল র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম (আরআরটিএস)র ‘নমো ভারত’ ট্রেনে। ২৬ ডিসেম্বর ওই সফরসূচি রয়েছে। পরের দু’দিন সকাল শুরু হবে যোগায় (ব্যায়াম)। নৈশভোজের পর রাজ্যের মুখ্যসচিবদের নিজেদের মধ্যে ‘ইনফরমাল ডিসকাসকাশনে’রও সূচি রেখেছে নীতি আয়োগ। ২৭ ডিসেম্বর লাঞ্চের থিম: হেরিটেজ অ্যান্ড ম্যানুস্ক্রিপ্ট প্রিজারভেশন অ্যান্ড ডিজিটাইজেশন। ২৮ তারিখ আয়ুষ ফর অল-ইনট্রিগ্রেটিং নলেজ ইন প্রাইমারি হেলথকেয়ার ডেলিভারি।
সামনেই ভোট। তাই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে যে অন্য রাজ্যের বন্ধু মুখ্যসচিবদের বাংলার নানা রাজনৈতিক বিষয়ে কৌতুহলের মুখোমুখি হতে হবে, বলাই বাহুল্য। আগামী কাল ২৬ তারিখ বিকেলে তিনি দিল্লি আসছেন। মুখ্যসচিব সম্মেলনের বিরাট আয়োজনের লক্ষ্যে আজ ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের জাতীয় ছুটি হলেও তা বাতিল করেছে নীতি আয়োগ। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বলা হয়েছে, ছুটি বাতিল। যা নিয়ে আয়োগের অনেকেই অসন্তুষ্ট।
এবার মুখ্যসচিব সম্মেলনের থিম: হিউম্যান ক্যাপিটাল ফর বিকশিত ভারত। তারই মধ্যে কৃষি, শিক্ষা, মাওবাদী, পর্যটন, আত্মনির্ভর ভারত, স্বদেশির মতো বিষয়ে পৃথক সেশন হবে। মুখ্যসচিবদের বোঝানো হবে ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে বিকশিত করতে কী করা দরকার। দেশে মাওবাদী সমস্যা প্রায় শেষ বলেই মনে করে মোদি সরকার। তাই মাওবাদী পরবর্তী কী পরিকল্পনা নেওয়া যায়, তা নিয়ে চর্চা হবে। শিক্ষায় বাল্য বয়স থেকে পরিণত উচ্চশিক্ষার বিষয় নিয়ে হবে আলোচনা। প্রযুক্তি, সরকারের জন্য সুযোগ নাকি ঝুঁকি? এই বিষয়েও হবে চর্চা। ভবিষ্যতের লোকবল তৈরির খসড়ার পাশাপাশি এক রাজ্য এক পর্যটন গন্তব্য নামে বিষয় রাখা হয়েছে মুখ্যসচিবদের সম্মেলনে।