নয়াদিল্লি: অক্সফোর্ডের বিতর্কসভায় পাকিস্তানের তুলোধোনা। চর্চায় ভারতের বিরাংশ ভানুশালি। তাঁর ক্ষুরধার যুক্তির সামনে পর্যদুস্ত হয়েছে পাকিস্তানি প্রতিপক্ষ। বক্তব্যের মাঝে বিরাংশকে বলতে শোনা যায়, ‘যে রাষ্ট্রের কোনও লজ্জাই নেই, তাকে লজ্জায় ফেলা যায় না।’ এই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমে। পাশাপাশি বিতর্ক সভায় যেসব যুক্তি বিরাংশ তুলে ধরেছেন, তা প্রশংসা কুড়িয়েছে।
অক্সফোর্ড ইউনিয়ন বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কসভার আয়োজন করে থাকে। এবার বিতর্কের বিষয় ছিল, ‘পাকিস্তান সম্পর্কে ভারতের বিদেশ নীতি জনপ্রিয়তার কৌশলমাত্র। যা নিরাপত্তা নীতি হিসেবে বিক্রি হয়।’ বিরাংশ এই মতের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেন, পাকিস্তান সম্পর্কে ভারতের নীতি কোনও রাজনৈতিক প্রচার বা জনপ্রিয়তার উপায় নয়। একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলা থেকে শিক্ষা নিয়েই এমনটা করতে হয়েছে। বক্তব্যের শুরুতেই ২৬/১১ মুম্বই হামলার কথা উল্লেখ করেন বিরাংশ। জানান, সেই সময় তিনিও মুম্বইয়ে ছিলেন। এই ঘটনা শহরবাসীকে কতটা আতঙ্কে রেখেছিল, তা আজও তাঁর মনে গেঁথে আছে। পাকিস্তানের হয়ে বিতর্কে অংশ নেন অক্সফোর্ড ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট তথা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা উৎপাদনমন্ত্রীর ছেলে মুসা হাররাজ। তাঁর দাবি, পাকিস্তান সম্পর্কে ভারতের নীতি নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলির অংশমাত্র। অর্থাৎ ভোটের রাজনীতির সঙ্গে বিষয়টা জুড়তে চান তিনি। এর পালটা বিরাংশ যুক্তি দেন, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে ২৬/১১, পাঠানকোট, উরি ও পুলওয়ামার মতো হামলার সময় কোনও নির্বাচন ছিল না। তাই এই ধরনের হামলার জবাবে ভারতের প্রতিক্রিয়াকে ভোটের রাজনীতির সঙ্গে জোড়া যায় না। বিরাংশ বলেন, একটি দেশ যখন নিজের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলি সামলাতে ব্যর্থ হয়, তখনই সে নিরাপত্তা ইস্যুকে রাজনৈতিক প্রচারের হাতিয়ার বানায়।