• মরশুমের প্রথম শীতলতম দিন, কুয়াশায় ঢাকল গোটা উত্তরবঙ্গ
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: দিনভর কুয়াশার চাদর। সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা হওয়া। দুপুরের পর থেকে হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা উত্তরবঙ্গবাসীর। মরশুমের প্রথম শীতলতম দিন ছিল বুধবার। বড়দিনের ২৪ ঘণ্টা আগে এমন আবহাওয়ায় উচ্ছ্বসিত আমজনতা। এই অবস্থায় কেউ গেলেন পাহাড়ে, আবার কেউ বড়দিনের ছুটিতে পিকনিকের প্রস্তুতি নিলেন। 

    উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ রঞ্জন রায় বলেন, উত্তুরে হাওয়া ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে। তাই এদিন উত্তরবঙ্গ ছিল মরশুমের প্রথম শীতলতম দিন। এমন আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকবে। কুয়াশার দাপটও থাকবে। পশ্চিমীঝঞ্ঝা এই এলাকায় প্রবেশ করলে ঠান্ডার তীব্রতা আরও বাড়বে। 

    কয়েকদিন ধরেই শিলিগুড়ির রাতের তাপমাত্রা ওঠা-নামা করছে। যারজেরে এতদিন দিনে গরম থাকলেও রাতে ঠান্ডার কামড় বাড়ছিল। হঠাৎ করেই মঙ্গলবার থেকে সূর্যের তেজ কমছে। দিনেও ঠান্ডার দাপট রয়েছে। সেই তুলনায় বুধবার ঠান্ডার তীব্রতা ছিল আরও বেশি। কারণ এদিন কার্যত দিনভরই কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল বিভিন্ন এলাকা। সঙ্গে চলে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। দুপুরে একঝলক সূর্য উঁকি দিলেও রোদের তেজ ছিল না। মাথায় টুপি, হাতে গ্লভস, পায়ে মোজা, গায়ে জ্যাকেট, সোয়েটার ছিল সকলেরই। সন্ধ্যার পর ঠান্ডার কামড় আরও বেড়ে যায়। ঘরে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে রুম হিটার চালান অনেকে। রাস্তাঘাটে কাঠ জ্বালিয়ে গা, হাত, পা সেঁকে নিতে দেখা যায় অনেককে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, এদিন শিলিগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

    একই অবস্থা ছিল জলপাইগুড়ির। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় ঠান্ডার কামড় আরও তীব্র ছিল। এদিন সকাল থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল জাতীয় ও রাজ্য সড়ক। অনেক বেলা পর্যন্ত শহরের রাস্তাঘাটে অন্যদিনের তুলনায় লোকজন কমছিল। এদিন জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ ডিগ্রির আশপাশে। শৈলশহর দার্জিলিংয়ের পারদও নিম্নমুখী। সেন্টজোসেফ কলেজ ও রাজভবন চত্বরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪.৮ ও ৩.৮ ডিগ্রি। প্রতিবেশী কালিম্পং পাহাড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

    এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন। সান্তক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি, স্টার, বেলুন, আলোর মালায় সেজে উঠেছে পাহাড় ও সমতল। গির্জা, বাড়ি, হোটেল, কেকের দোকান সর্বত্র রঙিন আলোয় সাজানো হয়েছে। এই অবস্থায় হাড়কাঁপানো ঠান্ডা উপেক্ষা করে অনেকে বাড়ির ছাদে, নদীর চরে, চা বাগানে, ডুয়ার্সে, পাহাড়ের পাদদেশে পিকনিক করার প্রস্তুতি নেন। আবার কেউ কেউ তুষারপাতের আশায় পাহাড়ে ছোটেন।
  • Link to this news (বর্তমান)