• মহিষামারিতে বউদিকে খুন, ভাইয়ের ফাঁসি চাইলেন দাদা
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: যে ভাইকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি, সে আমার সংসার শেষ করে দিল। ওর ফাঁসি চাই। বুধবার চাঁচল থানায় গিয়ে চোখে জল নিয়ে এমনটাই বললেন মহিষামারীতে খুন হয়ে যাওয়া মহিলার স্বামী নজরুল ইসলাম। এদিন মৃতার দেওর অভিযুক্ত জিয়ারুল হককে সাতদিনের হেফাজতের আবেদন করে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। তাকে পাঁচদিন হেফাজতে পেয়েছে।

    পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় অভিযুক্ত খুনের কথা কবুল করেছে। ব্যবহৃত অস্ত্র কোথায় রেখেছে, সেই তথ্য পেতে জেরা করা হচ্ছে। অভিযোগ, সোমবার গভীর রাতে দরজা ভেঙে শোওয়ার ঘরে ঢুকে মাজেদা বিবিকে (৪০) এলোপাথাড়ি কোপ মেরে খুন করে পালিয়ে যায় জিয়ারুল। খবর পেয়ে ভিনরাজ্য থেকে বাড়িতে ফেরেন মৃতার স্বামী ও তাঁর দুই ছেলে। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জিয়ারুলরা তিনভাই। সে ছোট। মৃতা বড় বউদি। অভিযুক্ত জাহিরুলের দুটি বিয়ে। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বাবার বাড়ি চাঁচল ২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া এলাকায়। সেই স্ত্রীর উপরও শারীরিক নির্যাতন চালাত অভিযুক্ত। তাই তিনি বাবার বাড়ি চলে যান। দ্বিতীয় স্ত্রীকেও অভিযুক্ত নির্যাতন শুরু করে। গত রবিবার দম্পতির মধ্যে বিবাদ হলে মীমাংসা করতে যান মাজেদা। মারধর থেকে বাঁচাতে নিজের বাড়িতে বধূকে আশ্রয় দেন তিনি। জায়ের বাড়ি থেকে গোপনে বাবার কাছে চলে যান অভিযুক্তের দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম পক্ষের মতো দ্বিতীয় স্ত্রীও আর ফিরবেন না বলে আশঙ্কা করছিল অভিযুক্ত। আর তাতে রাগ গিয়ে পড়ে বড় বউদির উপর। পুলিশের অনুমান, তার জেরেই খুন করে থাকতে পারে।

    চাঁচল থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, অভিযুক্ত জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে। ব্যবহৃত অস্ত্র কোথায় ফেলেছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)