সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি: হলদিবাড়ির খুচরো বাজারে এখন একটি ডিমের দাম ৯ টাকা। হলদিবাড়ি শহর থেকে মাত্র ১৬ কিমি দূরে মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভোটবাড়ি ও জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কাদোবাড়িতে আছে ডিম উৎপাদনের দু’টি লেয়ার ফার্ম। তাছাড়াও এখানে আসে বাইরের রাজ্যের ডিম। সেই অনুযায়ী মেখলিগঞ্জ মহকুমা ও জলপাইগুড়ি সদর ব্লক সংলগ্ন এলাকায় ডিমের জোগানে ঘাটতি পড়ার কথা নয়। কিন্তু বাইরের রাজ্য থেকে ডিমের গাড়ি এখন কম আসছে। বড়দিন উপলক্ষ্যে বেকারিতে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। সব মিলিয়ে বাজারে ডিমের দাম চড়ছে। এদিকে, ডিমের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
ডিমের দাম বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি বিপাকে। এমন অবস্থায় সমস্যায় পড়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সহ মিড ডে মিলের সঙ্গে যুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। ডিমের অর্থ জোগাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। বরাদ্দে কুলোতে না পেরে নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে ডিম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।
শিশু, গর্ভবতী ও প্রসূতিদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে প্রতিদিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দেওয়া হয় ডিম। স্কুলের পড়ুয়াদের মিড ডে মিলেও রাখার চেষ্টা করা হয় ডিম। শীত পড়তেই বাজারে ডিম কিনতে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে সকলকেই। বুধবার হলদিবাড়ির খুচরো বাজারে ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস ৯ টাকা দরে। পাইকারি বাজারে তা ৮ টাকা। বাজারের ডিম ব্যবসায়ীরা জানান, এপ্রিল-মে মাসে ৩০টি ডিমের দাম ছিল ১৫০ টাকা। গত দু’মাস আগেও দাম ছিল ১৬০ টাকা। শীত পড়তেই তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। এখন ৩০টি ডিমের দাম ২৪০ টাকা।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী গীতা মজুমদার জানান, ডিমের দাম বাড়ায় নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে ডিম কিনতে হচ্ছে। কারণ পড়ুয়া, শিশু, গর্ভবতীদের পাতে ডিম না দিলে অভিভাবকরা প্রশ্ন তোলেন।
হলদিবাড়ি শহরের পাইকারি ডিম বিক্রেতা সুমন সিকদারের বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশ ও অন্ধপ্রদেশ থেকে খুববেশি ডিম আসেছে না। বড়দিনের জন্য বেকারিগুলি প্রচুর ডিম কিনছে। তাই একটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এখানে স্থানীয় ফার্ম থেকে ডিম আসছে। এজন্য দাম একটু বেশি। তাছাড়া শীতকালে উৎপাদন একটু কমই হয়। অন্যদিকে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলে ডিম দিতে অসুবিধার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে বলে জানান মেখলিগঞ্জের এসডিও অতনুকুমার মণ্ডল