• কুয়াশার জেরে দুর্ঘটনা রোধে পুলিশের উদ্যোগ, চালকদের চা, জল পরিবেশন
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: প্রবল কুয়াশার জেরে ভোর রাতে দৃশ্যমানতা কমছে। আর এই কুয়াশার কারণেই গত এক সপ্তাহে কোচবিহারে সাতটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। হলদিবাড়ি থেকে শুরু করে বক্সিরহাট সব জায়গাতেই একই অবস্থা। বিশেষ করে গভীর ও ভোর রাতে অনেক সময় ভারী যানবাহনের চালকদের চোখে ঘুম চলে আসে। কুয়াশার কারণে সামনের কিছুই স্পষ্ট দেখা যায় না। এতেই উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাগুলি ঘটছে। তাই চালকদের সচেতন ও সতর্ক রাখার উপর জোর দিয়েছে জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। ভোর রাতে জাতীয় সড়ক ও রাজ্যসড়কে ভারী যানবাহনের চালকদের গাড়ি থেকে নামিয়ে চা, জল খাওয়াচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। মদ্যপ অবস্থায় কেউ গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা সে ব্যাপারেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এক সপ্তাহে পাঁচজনের মৃত্যু পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকেও উদ্বেগে রেখেছে। গভীর ও ভোররাতে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সব রকমের পদক্ষেপই নেওয়া হচ্ছে বলে জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কোচবিহারের ডিএসপি ট্রাফিক অঙ্কুর সিংহরায় বলেন, প্রতিটি থানা এলাকায় গাড়িচালকদের ভোর তিনটা থেকে ছ’টা পর্যন্ত চা, জল খাওয়ানো হচ্ছে। ভারী লরি ও যানবাহনের ক্ষেত্রেই এটা করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে গভীর রাতে পথ দুর্ঘটনায় মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মূলত কুয়াশার কারণেই এই দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে। গত এক সপ্তাহে পথ দুর্ঘটনা হয়েছে সাতটি। দুর্ঘটনা এড়াতে তাই পুলিশ কড়া নজর রাখছে।

    জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের খাগড়াবাড়ি, ঘোকসাডাঙার নিউ চ্যাংরাবান্ধা, মাথাভাঙার হিন্দুস্থান মোড়, মেখলিগঞ্জের চ্যাংরাবান্ধা, তুফানগঞ্জের রায়ডাক, দিনহাটার শিমুলতলা প্রভৃতি নাকা চেকিং পয়েন্টে এই অভিযান চলছে। তা সত্ত্বেও হলদিবাড়িতে দু’জন, বক্সিরহাট ও পুণ্ডিবাড়িতে একজন করে মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

    গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যা নামলেই কোচবিহার কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে। গভীর রাত ও বিশেষ করে ভোরবেলায় কুয়াশা এতটাই ঘন হচ্ছে যে পথঘাটে প্রায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়ক দিয়ে ওই সময়গুলিতে প্রচুর লরি ও ভারী যানবাহন চলাচল করে। এরাই মূলত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। তাই রাত থেকেই চালকদের সচেতন ও সতর্ক রাখার উপর জোর দিয়েছে জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)