• উৎসব মরশুমে নবদ্বীপ ও মায়াপুর ফেরিঘাটে চলবে অতিরিক্ত নৌকা
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: শীতে উৎসবের মরশুমে নবদ্বীপ ও মায়াপুর ফেরিঘাটের মধ্যে অতিরিক্ত লঞ্চ ও নৌকা পরিষেবা বাড়ানো হয়েছে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবদ্বীপ জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। চৈতন্যভুমি নবদ্বীপ ও আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র মায়াপুরে আসা পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের অতিরিক্ত  পরিষেবা দিতেই এই সিদ্ধান্ত। প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করলেও বড়দিন ও বর্ষবরণের আগে অতিরিক্ত ভাড়ার বিনিময়ে সারারাত ফেরি পরিষেবার বন্দোবস্ত থাকবে। নবদ্বীপ থানার আই সি সমিত মণ্ডল  জানান, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিশ অফিসার, মহিলা পুলিশ কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার ফেরিঘাট থেকে রাস্তায় সর্বত্র মোতায়েন থাকবে। এছাড়া বিশেষ দিনগুলিতে জলপথে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরাও প্রস্তুত থাকবেন।

    বড়দিন ও নতুন বছরের আগে থেকে এই সময় মায়াপুর ও নবদ্বীপের মঠ মন্দিরে পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। কেউ নবদ্বীপ থেকে ভাগীরথী পেরিয়ে মায়াপুর, কেউ বা আবার মায়াপুর থেকে নবদ্বীপে আসছেন। বড়দিনে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নবদ্বীপ ও মায়াপুর এবং হুলোর ঘাটেও পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকও রেখেছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।

    ফেরিঘাট সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ থেকে মায়াপুরের মধ্যে প্রতিদিন তিনটি এবং হুলোরঘাট থেকে স্বরূপগঞ্জের মধ্যে দু’টি নৌকা যাতায়াত করে। এছাড়া এই সময় নবদ্বীপ ও মায়াপুরের মধ্যে তিনটি লঞ্চ যাতায়াত করে। নবদ্বীপ জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির সম্পাদক সুশান্ত হালদার বলেন, তিন ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন নবদ্বীপ-মায়াপুর এবং হুলোরঘাট থেকে স্বরূপগঞ্জ, নবদ্বীপ-স্বরূপগঞ্জে মোট আটটি যন্ত্রচালিত নৌকা চলাচল করে। এছাড়া নবদ্বীপ ও মায়াপুরের মধ্যে তিনটি লঞ্চও চলাচল করে। বড়দিন এবং পয়লা জানুয়ারি ভিড় হলে অতিরিক্ত আরও তিনটি লঞ্চ অর্থাৎ মোট ছ়’টি লঞ্চ চালানো হবে। ভোর সাড়ে ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করে। তবে লঞ্চ পরিষেবা সকাল ৬টা থেকে চালু হলে ভিড় থাকলে রাত ১০টা পর্যন্ত চালানো হবে । 

    হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন মায়াপুর ইউনিটের সম্পাদক প্রদীপ দেবনাথ বলেন, শীত পড়তেই মায়াপুরে লোকজন ভিড় করতে শুরু করেন। এখনই মায়াপুরের অধিকাংশ হোটেল এবং লজ-এর ঘর অন লাইনে বুকিং চলছে। আশা রাখছি ২৫ ডিসেম্বর অনেক বেশি লোক হবে এখানে। ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, শীত পড়তেই পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের ঢল নেমেছে মায়াপুরে। এই বড়দিনে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে আশা করা যায়। নতুন বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ইসকনের কোনও লজের রুম ফাঁকা নেই। এখন ইসকন মন্দিরে চলছে গীতা মেলা। আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে মেলা। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)