ঘন কুয়াশা, দৃশ্যমানতা কমে যান চলাচলে সমস্যা রামপুরহাটজুড়ে
বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: কয়েকদিন ধরে জমিয়ে শীত পড়েছে। তবে, বুধবার সকালে হঠাৎ ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে রামপুরহাট মহকুমার পথ-ঘাট। দৃশ্যমানতা একদম কমে যায়। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে ছিল চারপাশ। পরে কুয়াশা সরে গেলেও দেখা মেলেনি সূর্যের। সমস্যায় পড়েন পথচারী ও যান চালকরা।
ঘন কুয়াশার কারণে রামপুরহাট মহকুমার বিভিন্ন রাস্তায় ও জাতীয় সড়কে ফগলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে দেখা গিয়েছে। ১০ ফুট দূরের কোনও কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সেই সঙ্গে ব্যাপক ঠান্ডা অনুভব হয়। ঘন কুয়াশার কারণে সকালের দিকে ট্রেনও চলেছে কিছুটা ধীর গতিতে। গায়ে মোটা পোশাক জড়িয়ে কাজের উদ্দেশে যেতে দেখা গিয়েছে শ্রমজীবী মানুষদের। এরই মধ্যে বেরিয়ে শীতের আমেজে মজে প্রাতঃভ্রমণকারীরা। যদিও প্রাতঃভ্রমণকারীরা জানান, ভোরের দিকে তেমন কুয়াশা ছিল না। সকালে হতেই কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। শীত থেকে বাঁচতে রাস্তার ধারে অনেককে কাগজ ও খড় পুড়িয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা যায়।
সকাল ৭টা নাগাদ ঝাড়খণ্ডে সীমানার সুঁরিচুয়া থেকে দুমকা রোড ধরে বাইক চালিয়ে রামপুরহাট আসছিলেন সুনীল কুমার। তিনি বলেন, ফাঁকা জায়গায় রাস্তার কয়েক হাত দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছে না। হেডলাইট জ্বললেও লাভ হয়নি। কুয়াশায় জেরে জামার সামনের দিকে ভিজে গিয়েছে। মনে হচ্ছে ঝিরঝির বৃষ্টি হচ্ছে। হেলমেটের কাচ বারবার মুছতে হচ্ছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় খুব ধীরে ধীরে বাইক চালাতে হচ্ছে।
একইভাবে সকালের দিকে বাস চলেছে ধীর গতিতে। রামপুরহাট মহকুমা বাস মালিক সমিতির সভাপতি জামারুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে কম দৃশ্যমান্যতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকায় বাস আস্তে চালাতে হয়েছে। ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে সময় বেশি লেগেছে। তিনি বলেন, ঝুঁকি নিয়েও বাস চালাতে হয়েছে।
সকালের দিকে ঘন কুয়াশার কারণে জাতীয় সড়কে অন্যান্য যানবাহন চলাচল ছিল কম। রামপুরহাট ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন, কুয়াশা থাকলে গাড়ি চালানোর সময় গতি নিয়ন্ত্রণ রাখা খুব জরুরি। নিয়মিত যে রাস্তায় প্রতি ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে গাড়ি চালানো হয়, কুয়াশার সময় অবশ্যই সেই বেগ ২৫-৩০ কিমিতে আনতে হবে।
গতি কম থাকলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকলেও গাড়ি ব্রেক করা সহজ হবে। সেই সঙ্গে সামনের গাড়ি থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ি চালাতে হবে।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা সরে গেলেও সেভাবে সূর্যের দেখা মেলেনি। কনকনে শীত অনুভূতি হতে শুরু করে। রামপুরহাট জিআরপির আইসি নিত্যরঞ্জন দাস বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে সকালের দিকে বেশকিছু ট্রেন দেরিতে চলাচল করেছে।