• স্বাধীনতার পর দেগঙ্গার গ্রামে প্রথম কংক্রিট রাস্তা, খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: স্বাধীনতার পর কেটে গিয়েছে বহু বছর। কিন্তু তারপরেও পাকা রাস্তার সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন দেগঙ্গার চাপাঁতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমরুলি, তরফদার আটি ও চাঁদপুর সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের ভিতরের রাস্তা ছিল মাটির, গর্তে ভরা। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠত। এলাকার মানুষের দাবি মতো এই রাস্তা নতুন করে সংস্কারের উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। পথশ্রী-৪ প্রকল্পে ৮৯ লক্ষ টাকায় রাস্তাটি কংক্রিটের তৈরি করা হবে।

    দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে ছিল দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের কুমরুলি, তরফদার আটি চাঁদপুর যাওয়ার রাস্তা। ১০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তাটি ছিল একেবারে বেহাল। সবজি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করা কৃষকদের বাজারে ফসল নিয়ে যাওয়া ছিল বড় সমস্যা। ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াতও ছিল অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। অসুস্থ রোগী বা বয়স্ক মানুষ কিংবা রেল স্টেশনে পৌঁছতে যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। বাম আমলে একাধিকবার পাকা রাস্তার প্রতিশ্রুতি মিলেছিল। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। এবার এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বদলাতে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত পথশ্রী প্রকল্পে অবশেষে শুরু হয়েছে পাকা ঢালাই রাস্তার কাজ। স্বাধীনতার পর এই প্রথম পাকা রাস্তা পেতে চলেছেন দেগঙ্গার একাধিক গ্রামের বাসিন্দা।

    জানা গিয়েছে, রাস্তাটির দৈর্ঘ্য দেড় কিলোমিটার। খরচ হবে ৮৯ লক্ষ টাকা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় খুশিতে মাতেন গ্রামবাসীরা। বাজি ফাটানোর পাশাপাশি মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এলাকাবাসীদের দাবি, কাজের গুণগতমান বজায় থাকুক, টেকসই হোক রাস্তাটি। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শাহ আলম ও রবি মল্লিক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথশ্রী প্রকল্প তাঁদের গ্রামে নতুন আশা আনল। পাকা রাস্তার সঙ্গে বদলাবে দেগঙ্গার গ্রামগুলির ভবিষ্যৎ। স্বাধীনতার পর থেকে এই রাস্তা পাকা হয়নি।

    এনিয়ে চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান প্রণতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই রাস্তাটি। এক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগী হন হাড়োয়ার বিধায়ক রবিউল ইসলাম। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্প মানুষকে নতুন আলো দেখাল।
  • Link to this news (বর্তমান)