সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বারুইপুর: শীত পড়তেই মোয়ার বাজার জমজমাট। নতুন বছরও চলে এল। এ সময় নিজের জন্য, আত্মীয়দের উপহার দিতে মোয়া কেনে বহু মানুষ। ভিড় বাড়ছে দোকানগুলিতে। জিআই ট্যাগ পাওয়ার পর জয়নগরের মোয়ার কদর আরও বেড়েছে। কেউ এই মোয়া সিঙ্গাপুরে পাঠাচ্ছেন মেয়ের জন্য। আবার কেউ পাঠাচ্ছেন ওমান। বিহার, রাজস্থানে তো আকছার যাচ্ছে জয়নগরের মোয়া। চাহিদা বেড়েছে বলে জোগান দিতে প্রায় হিমশিম দশা দোকানগুলির। সকাল থেকেই বহড়ুতে মোয়ার নামকরা দোকানগুলিতে ভিড়। লম্বা লাইন পড়ছে। ক্রেতাদের কেউ এসেছেন বারুইপুর থেকে। কেউ যাদবপুর বা কসবা থেকে। দোকানে নলেন গুড় দিয়ে চলছে মোয়া তৈরি। বারুইপুর পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতা দত্ত দোকানে এসে বললেন, ‘মেয়েকে সিঙ্গাপুরে মোয়া পাঠাতে হবে। তাই সকাল সকাল চলে এসেছি। ভালো স্পেশাল মোয়া ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমি ১৩ প্যাকেট কিনলাম।’ যাদবপুর থেকে আসা সুবীর ঘোষ বলেন, ‘দাদা আমেরিকায় থাকে। প্রতিবছর মোয়া পাঠাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে। স্পেশাল মোয়া ২১ প্যাকেট কিনলাম।’দোকানদাররা জানালেন, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মোয়ার পিক সিজন। শ্যামসুন্দর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের রঞ্জিত ঘোষ ও বাবলু ঘোষ বলেন, ‘শুধু আমেরিকা নয় মোয়া পাঠানো হয়েছে সৌদি আরবেও। ২৫ প্যাকেট মোয়া কিনে নিয়ে গিয়েছেন কলকাতার এক ব্যবসায়ী।’ বীণাপানি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের গণেশ দাস বলেন, ‘বিহার, ঝাড়খণ্ডেও মোয়া নিয়ে যাচ্ছে। স্পেশাল ৬০০ টাকা দাম। ভালোই বিক্রি হচ্ছে।’ জয়নগরের মা কালী সুইটসের খোকন দাস বলেন, ‘সিঙ্গাপুর, ওমানে গিয়েছে ৬০০ টাকার স্পেশাল মোয়া।’ নিজস্ব চিত্র