সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের ফাঁকা জায়গায় হবে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র
বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দীর্ঘ ১০ বছর পর সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের (ওয়েলিংটন স্কোয়ার) একাংশ ও সংলগ্ন এলাকা কলকাতা পুরসভার হাতে আসার কথা চলছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য ওই জায়গা এতদিন কেএমআরসিএল’কে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুরসভা জানতে পেরেছে, সেই জমি আর কাজে লাগছে না মেট্রোর। তাই পুরসভা জমি ফেরত চেয়ে মেট্রোকে চিঠি পাঠাতে চলেছে বলে খবর। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জমিটি হাতে পাওয়ার পর সেখানে একটি পানীয় জলের বুস্টার পাম্পিং স্টেশন ও পুর-স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ার দাবি উঠেছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের জন্য পুরসভার কাছ থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের একাংশ, পাশের স্পোটর্স ক্লাব ও বক্সিং রিংয়ের জমি নিয়েছিল কেএমআরসিএল। উল্লেখ্য, ১৯২৭ সালে এই ক্লাবের সূচনা হয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর হাত ধরে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে শিয়ালদহ ও এসপ্ল্যানেডের মধ্যে মাটির নীচে একটি স্টেশন তৈরি হওয়ার কথা ছিল। পরে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে সেখানে একটি ভেন্টিলেশন স্যাফ্ট (কুয়ো) বানানো হয়। প্রথমে সেটি এমনভাবে বানানোর কথা ছিল যাতে দীর্ঘ সুড়ঙ্গে কোনও সমস্যা তৈরি হলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের বের করে আনা সম্ভব হয়। কিন্তু বছর দু’য়েক আগে মেট্রোর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে এই সুযোগ থাকছে না। ভেন্টিলেশন স্যাফ্টটি শুধুমাত্র সুড়ঙ্গে বাতাস চলাচলের সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হবে। কিন্তু বর্তমানে সেটাও হচ্ছে না বলে খবর। ওটা ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এখন মেট্রো রুট পুরোপুরি চালু হয়ে যাওয়ার পর জায়গাটি ইতিমধ্যেই খালি করেছে মেট্রো। তাই পুরসভা চাইছে জমিটি মেট্রোর কাজে না লাগলে সেটি ফিরিয়ে নিতে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ইন্দ্রনীল কুমার মেয়রের কাছে ওই জমি নিয়ে নানা আর্জি জানিয়েছেন। এলাকায় দ্বিতীয় পুর-স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা স্যাটেলাইট হেলথ সেল্টার গড়ার জমি নেই। তাই খালি পড়ে থাকা ওই জমিতে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা যেতে পারে। সেই সঙ্গে একটি ছোট বুস্টার পাম্পিং স্টেশনও গড়া যেতে পারে। যাতে এলাকায় ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পানীয় জলের ভবিষ্যতের চাহিদা মেটানো যায়।