অয়ন ঘোষাল: তেরোর ঘরে নামল পারদ! বিগত ৯ বছরের মধ্যে শীতলতম বড়দিন আজ কলকাতায়। চলতি মরশুমেরও শীতলতমও দিন বটে। বড়দিনের সকালে আজ কলকাতার তাপমাত্র রেকর্ড হয়েছে ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৬ সালে বড়দিনে ১৩ ডিগ্রির ঘরে নেমেছিল কলকাতার পারদ। সেবার ২৫ ডিসেম্বর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিগত ৯ বছরে দ্বিতীয়বার ১৩ ডিগ্রির ঘরে নামল বড়দিনের পারদ। বহুদিন পর বড়দিনে হাড়হিম শীতল হাওয়ার স্রোত হাড়ে হাড়ে মালুম হল রাজ্যে। শুধু কলকাতায় নয়। সারা রাজ্যেই শীতের কামড়। জমাট ঠাণ্ডায় থরহরিকম্প উত্তর থেকে দক্ষিণ। দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ৩.২ ডিগ্রি। পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি। সাগরদ্বীপের তাপমাত্রা ১২.৮ ডিগ্রি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্রমাগত নিম্নমুখী থাকবে পারদ। গত রবিবারের শীতলতম দিনের সিংহাসন যে এই সপ্তাহেই টলে যাবে, তা আগেই পূর্বাভাস মিলেছিল। কার্যক্ষেত্রে হলও তাই। শুধু এই মরসুম নয়। বিগত ৯ বছরের বড়দিনের রেকর্ড ভেঙে চুরমার করল ২০২৫ এর বড়দিনের পারদ। ওদিকে বড়দিনের সকালে কলকাতায় বাতাসের গুণগতমানও অত্যন্ত খারাপ বা সিভিয়ার (২৫৮ AQI)।
মরশুমের শীতলতম দিনের কিছু উল্লেখযোগ্য সর্বনিম্ন তাপমাত্রা:
দার্জিলিং ৩.০
শ্রীনিকেতন ৮.৩
আলিপুরদুয়ার ৮.০
পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ৯.৮
পশ্চিম বর্ধমান ৮.৯
বহরমপুর ৯.৯
সাগর দ্বীপ ১২.৮
তবে ২৭ ডিসেম্বর নতুন করে উত্তর পশ্চিম ভারতে ঢুকবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এর প্রভাবে আগামী সোমবার থেকে গোটা দেশে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হবে পারদ। বাদ যাবে না পশ্চিমবঙ্গ। ফলে বড়দিনের তুলনায় কিছুটা উষ্ণ থাকতে চলেছে বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণ পর্ব। ২৬ তারিখ থেকে রাজ্যে কুয়াশার দাপট বৃদ্ধি পাবে। পার্বত্য এলাকা, ডুয়ার্স, পশ্চিমাঞ্চল এবং উপকূলের জেলায় কমবে দৃশ্যমানতা। তবে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে খুব ঘন কুয়াশার সতর্কতা নেই।
বিহার ঝাড়খন্ডে শীতল দিনের পরিস্থিতি। শৈত্যপ্রবাহ হিমাচল জম্মু কাশ্মীর উত্তরাখণ্ড উত্তরপ্রদেশে। জম্মু কাশ্মীরে চিল্লাহ-ই-কালান অর্থাৎ কষ্টদায়ক ৪০ দিন শুরু হয়ে গিয়েছে। লাগাতার তুষারপাতের পূর্বাভাস। সিকিমে ঘন তুষারপাত। ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশা দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও চণ্ডীগড় রাজ্যে।