• ‘দরজা বন্ধ থাকায় অনেকেই বেরোতে পারেননি…’ ঠিক কী হয়েছিল কর্নাটকের বাস দুর্ঘটনার পরে? জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
    এই সময় | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • দুর্ঘটনার পরে লক হয়ে গিয়েছিল বাসের দরজা। জানলা ভেঙে বেরিয়ে পালাতে পেরেছিলেন কেউ কেউ। তবে, অনেকেই বাসের আগুনের মধ্যেই পুড়ে মারা গিয়েছেন। বুধবার রাতে কর্নাটকের চিত্রদুর্গ জেলায় দিল্লি-চেন্নাই ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। লরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে যাত্রিবাহী বাস। দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। ঠিক কী ঘটেছিল দুর্ঘটনার সময়ে, তা জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

    ঠিক কী ঘটেছিল দুর্ঘটনার সময়ে?

    দুর্ঘটনার সময়ে আদিত্য নামে এক ব্যক্তি ‘সি বার্ড’ নামে বেসরকরি ওই বাসে ছিলেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময়ে বাসের মধ্যে থাকা যাত্রীরা সকলেই ঘুমোচ্ছিলেন। খুব জোরে বাসটি চলছিল। হঠাৎই খুব জোরে একটি শব্দ শুনতে পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই সিট থেকে পড়ে যান আদিত্য। চারপাশে আগুন জ্বলতে দেখেন। বাসের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কেউ নামতে পারেননি। বাসের জানালা ভেঙে বেরোনোর চেষ্টা করেন কেউ কেউ। কিন্তু চারিদিকে আগুন জ্বলতে থাকায় বাস থেকে নামাও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

    সচিন নামে এক ব্যক্তি দুর্ঘটনার সময়ে রাস্তাতেই ছিলেন। তিনি বলেন, বাসটি তাঁকে ওভারটেক করে এগিয়ে যায়। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছুটে এসে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরি ধাক্কা মারে বাসটিতে। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে বাসটিতে। অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঘটনার পরে এলাকায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানান তিনি।

    প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, লরিটি বাসের ফুয়েল ট্যাঙ্কে আঘাত করে। তার ফলেই আগুন লাগে। দাহ্য জ্বালানির কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন।

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। PMO-র তরফে একটি এক্স পোস্ট করে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে। পাশাপাশি, যারা আহত হয়েছেন তাঁদের মাথাপিছু ৫০,০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে।

  • Link to this news (এই সময়)