• প্রাক্তন পুরপ্রধানের মাথায় লাঠির ঘা, ধৃত পরিচিত যুবক
    এই সময় | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, পুরুলিয়া: নিজের ওয়ার্ডে কার্যালয়ের সামনে আক্রান্ত হলেন পুরুলিয়ার সদ্য প্রাক্তন পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধোবঘাটা এলাকায়। নবেন্দু এই এলাকারই বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী মালবিকা মাহালির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক শুভজিৎ কালিন্দীকে গ্রেপ্তার করেছে পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ের ঠিক বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন নবেন্দু। সে সময়ে সাইকেলে সেখানে আসেন দু'জন।

    অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে একজন নবেন্দুর সঙ্গে কথা বলার সময়ে অন্য জন একটি লাঠি নিয়ে আচমকা তাঁর মাথায় আঘাত করে। নবেন্দুর চিৎকারে তাঁর দেহরক্ষী কার্যালয়ের ভিতর থেকে ছুটে বাইরে এসে আক্রমণকারী ওই যুবককে ধরে ফেলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় নবেন্দুকে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চোখে ঝাপসা দেখায় সেখানে তাঁর মাথার স্ক্যান করা হয়। আপাতত তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা চিকিৎসকেরা হয়েছে।

    নবেন্দুকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। নবেন্দু বলেছেন, 'লাঠি দিয়ে মারার সময়ে হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম। না হলে হয়তো মেরেই ফেলত। ছেলেটি আমার ওয়ার্ডেরই। কিন্তু কেন এ ভাবে আক্রমণ করল বুঝতে পারছি না।' নবেন্দুর স্ত্রী মালবিকার বক্তব্য, 'ও আক্রান্ত হয়েছে শুনে সোজা হাসপাতালে পৌঁছেছি। কেন ওই ছেলেটি এরকম করল, সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখুক।'

    তৃণমূলের প্রাক্তন শহর সভাপতি তথা জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার ডাগা বলেন, 'শুধুই এ ভাবে ওকে আক্রমণ করবে। এর পিছনে কী কারণ রয়েছে, খুঁজে বের করতে হবে। দলীয় কাউন্সিলার বিভাসরঞ্জন দাসের বক্তব্য, 'দেহরক্ষী থাকা সত্ত্বেও নবেন্দুর উপর হামলার ঘটনা ঘটল।' হামলার ঘটনার নিন্দা করে পুরসভার বিরোধী বিজেপি দলনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এই ঘটনা ওদের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই ঘটে থাকতে পারে। পুলিশ খতিয়ে দেখুক।'

  • Link to this news (এই সময়)