ডিরেক্টরেট কমন ক্যাডারে ছাড়পত্র দিল রাজ্য মন্ত্রীসভা, বাড়ছে পদোন্নতির সুযোগ
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
এত দিন ডিরেক্টরেট–ভিত্তিক ক্যাডার ব্যবস্থা ছিল। সেই কারণে কর্মীরা যে ডিরেক্টরেটে কাজে যোগ দিতেন সেখানেই আটকে থাকতেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে পদোন্নতিও হত না। খুব বেশি হলে একটি পদোন্নতি হত, সেটাও আবার অবসরগ্রহণের ঠিক আগে। এই কাঠামোর কারণে অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ কর্মীই সঠিক মর্যাদা পাচ্ছিলেন না। তাঁদের দক্ষতার সম্পূর্ণ ব্যবহারও সম্ভব হচ্ছিল না।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে বিভিন্ন দফতরের ডিরেক্টরেটে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবিকে মান্যতা দিল নবান্ন। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ডিরেক্টরেট কমন ক্যাডার’ গঠনের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের ১০৬টি ডিরেক্টরেটে কর্মরত ১১ হাজারেরও বেশি আধিকারিক ও কর্মচারীর পদোন্নতির পথ অনেকটাই প্রশস্ত হল বলে মনে করছে প্রশাসনের একাংশ। সেই কারণে ‘ডিরেক্টরেট কমন ক্যাডার’ গঠনের দাবি উঠেছিল।
রাজ্য সরকার আগেই একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে এই সমস্যা খতিয়ে দেখতে বলেছিল। বিস্তারিত সমীক্ষা ও আলোচনার পরে কমন ক্যাডার গঠনের সুপারিশ করে ওই কমিটি। সেই সুপারিশ মেনেই এ বার প্রশাসনিক ও কর্মিবর্গ দপ্তরের অধীনে ডিরেক্টরেট কমন ক্যাডার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এর ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের অন্যান্য ডিরেক্টরেটেও বদলির সুযোগ তৈরি হবে। আজীবন একই ডিরেক্টরেটে থাকতে হবে না। পাশাপাশি অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগও খুলে গেল।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী জানান, ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মচারীদের স্বার্থে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন। ডিরেক্টরেট কমন ক্যাডার গঠনের সিদ্ধান্ত সেরকমই একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। ফেডারেশনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরেই এই দাবি জানানো হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা ছিল যে তিনি এই দাবি পূরণ করবেন।