• সিঙ্গুরে শিল্প! আসছে অ্যামাজন-ফ্লিপকার্টের বিরাট ওয়্যারহাউস, শালবনিতে অত্যাধুনিক বিদ্যুত্‍ কেন্দ্র...
    ২৪ ঘন্টা | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সিঙ্গুরে এবার শিল্প। নাহার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডকে ওয়্যারহাউস তৈরি করার জন্য  ১১.৩৫ একর জমি দিচ্ছে রাজ্য। ওই জমিতেই তৈরি হবে আমাজন ও ফ্লিপকার্টের মতো অনলাইন সংস্থার নতুন ওয়্যারহাউস। হবে বিপুল কর্মসংস্থান।

    নজরে ছাব্বিশ। লক্ষ্য, কর্মসংস্থান ও  শিল্প পরিকাঠামো তৈরি। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে জিন্দাল গোষ্ঠীর সঙ্গে যৌথভাবে ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট অর্থাৎ ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা বিদ্যুত্‍ কেন্দ্র তৈরির প্রস্তাবে অনুমোদন দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, নতুন শিল্প স্থাপনের জন্য় রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। নতুন বিদ্যুত্‍ কেন্দ্র তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। সেই টেন্ডারের ভিত্তিতেই শালবনিতে পিপিপি মডেলে বিদ্যুত্‍ কেন্দ্র তৈরি করা হবে।

    নবান্ন সূত্রে খবর,   প্রতি ইউনিট ৫.৮১ টাকা দরে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে জেএসডব্লিউ এনার্জি। এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের সময়সীমা ধরা হয়েছে ২৫ বছর। তবে আগামীদিনে যদি বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়ে, সেক্ষেত্রে মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানো হতে পারে।

    রাজ্যের বিনিয়োগ টানতে প্রতিবছরই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজন করে রাজ্য় সরকার। সামনেই বিধানসভা ভোট। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বদলে এবার হল Business & Industry Conclave, 2025। কবে? গত সপ্তাহে। সেই সম্মেলনেই সিঙ্গুরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ওয়্যারহাউস গড়তে জমি চেয়েছিল নাহার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড। জমি দিচ্ছে  রাজ্য় সরকার।

    আলিপুরের ধনধান্যে অডিটোরিয়ামে শিল্প সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'দেশে লজিস্টিক হাব হিসেবে এখন শীর্সে বাংলারই। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থা এ রাজ্য়ে বিনিয়োগ করছে। ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ, পর্যাপ্ত কয়লা, দক্ষ মানবসম্পদ ও প্রশিক্ষিত কর্মীর জোগান— এটাই বাংলার ট্যালেন্ট পুল'। তাঁর দাবি, 'গত ১৪ বছরে শ্রমদিবস নষ্টের সংখ্যা শূন্য।  কিছু মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ফেক খবর ছড়িয়ে রাজ্যের বদনাম করছে।  রাজ্যে ৯৫টি সামাজিক প্রকল্প চলছে, যা দেশের অনেক রাজ্যেই নেই'।

    মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য ছিল, 'রাজ্যে প্রায় দুই কোটি কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে এবং বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ। বাংলা ইতিমধ্যেই সেমিকন্ডাক্টর হাব হিসেবে চিহ্নিত, আমেরিকা ও ব্রিটেন থেকে বিনিয়োগ আসছে।  জিএসটির নামে রাজ্য থেকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে'।  বস্তুত, শিল্প  সম্মেলনে রাজ্য সরকারের ভুয়সী প্রশংসা করেন সঞ্জীব পুরী, হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, উমেশ চৌধুরীর মতো প্রথমসারির শিল্পপতিরাও।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)