অংশুপ্রতিম পাল, খগড়পুর: চিকিৎসক ও নার্সদের গাফিলতিতে মৃত্যু গর্ভস্থ সন্তানের! এই অভিযোগে উত্তপ্ত খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বর। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবিতে সরব হয়েছে পরিবার। ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হেমা চৌবে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে মামনি মুখোপাধ্যায়কে প্রসব বেদনা নিয়ে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালের বেডেই ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। গর্ভবতী মায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করলে বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগীর মায়ের অভিযোগ, নার্সদের বারবার মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কথা বলা হলেও তাঁরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। বরং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় আপত্তিকর কথাবার্তা বলা হয় বলে অভিযোগ। পরে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হলে গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয় বলে জানায় চিকিৎসকরা। তারপরই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন পরিবারের সদস্যরা। গৃহবধুর মা সুষমা মুখোপাধ্যায় বলেন, “নার্স ও চিকিৎসকের গাফিলতিতে আমার নাতির গর্ভস্থ অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। আমি এঁদের শাস্তি চাই।”
আরও জানা গিয়েছে, মামনির শ্বশুরবাড়ি দাসপুর থানার নাড়াজল এলাকার সিঙ্ঘাঘাই গ্ৰামে। বাপের বাড়ি খড়গপুর শহরের তালবাগিচা এলাকায়। গৃহবধূর মা মেয়েকে দেখভালের জন্য নিজের কাছে নিয়ে আসেন। গত ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মামনিকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেই সময় সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা না থাকায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর প্রসব বেদনা ওঠায় সকালে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ তাঁকে হাসপাতালের বেডে ফেলে রাখা হয়। ঘটনাটিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানালেন খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হেমা চৌবে।