ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: উন্নাওয়ের নির্যাতিতা ও তাঁর মায়ের হেনস্তা এবং সেকথা শুনে যোগীর মন্ত্রীর রসিকতা নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এই ইস্যুতে এবার X হ্যান্ডেলে বিরোধী বিজেপিকে তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এটাই কি ‘বেটি বাঁচাও’য়ের বাস্তবতা, প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
তিনি লেখেন, “ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী ওমপ্রকাশ রাজভর নির্যাতিতাকে নিয়ে রসিকতা করছেন। আর এসব দেখে নীরব বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। এটাই কি বেটি বাঁচাওয়ের বাস্তবতা? যখন একজন ধর্ষক প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান এবং মন্ত্রী রসিকতা করেন। তখন আমরা আমাদের প্রত্যেক কন্যা, প্রত্যেক মহিলা এবং প্রত্যেক পরিবারকে সুবিচার দিতে ব্যর্থ।”
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৪ জুন গণধর্ষণের শিকার হয় উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। মূল অভিযুক্ত ছিলেন তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার। পরিবার পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলেও তা নিতে চায়নি বলে অভিযোগ। পরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লেখেন নির্যাতিতা। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে ধর্নায় বসেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। সেখানেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা। এই ঘটনার পর উলটে নির্যাতিতার বাবাকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার বাবার। একই বছর ডিসেম্বর মাসে দোষী সাব্যস্ত হয় কুলদীপ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং পকসো আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হয় কুলদীপকে। বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্ট তাকে জামিন দিয়েছে। দিল্লিতে ইন্ডিয়া গেটের সমানে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে সিআরপিএফের হাতে ‘আক্রান্ত’ হন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা ও তাঁর মা। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে হাসিতে ফেটে পড়েন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী ওপি রাজভার। তারপরই সমাজমাধ্যমে উঠেছে নিন্দার ঝড়।