ভারতীয় সেনার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে বড়সড় বদল আনল আর্মি হেডকোয়ার্টার্স। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখন থেকে জওয়ানরা ইনস্টাগ্রাম (Instagram) ব্যবহার করতে পারবেন, তবে রয়েছে বিশেষ শর্ত। ‘ভিউ-অনলি’ বা ‘প্যাসিভ পার্টিসিপেশন’ মোডে শুধুমাত্র তথ্য জানার জন্য এই প্ল্যাটফর্মটি স্ক্রোল করতে পারবেন জওয়ানরা। তবে কোনও ভাবেই লাইক, কমেন্ট, শেয়ার বা মেসেজ করা যাবে না।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স বা DGMI-এর পক্ষ থেকে জারি করা এই নির্দেশে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সেনাকর্মীরা শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহের জন্য ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকী কোনও ফেক নিউজ বা বিভ্রান্তিকর পোস্ট নজরে পড়লে তা সিনিয়র অফিসারদের জানানোর সুযোগও দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে নিরাপত্তার স্বার্থে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম-সহ ৮৯টি অ্যাপ ব্যবহার জওয়ানদের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল সেনা। এই অ্যাপগুলি জওয়ানদের ফোন থেকে ডিলিট করে দিতে বলা হয়েছিল। নতুন নির্দেশিকায় সেই কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হলো।
সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানিয়েছেন, বর্তমান প্রজন্মের জওয়ানদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, ‘আমরা চাই না আমাদের জওয়ানরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া (React) জানাক, বরং তারা যেন পরিস্থিতি বিচার করে জবাব (Respond) দেয়।’
ইনস্টাগ্রাম ছাড়াও ইউটিউব এবং এক্স-এর ক্ষেত্রেও একই ‘প্যাসিভ’ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামে শুধুমাত্র পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গেই সাধারণ তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন জওয়ানরা। VPN বা টরেন্ট ব্যবহারের উপরে আগের নিষেধাজ্ঞাই বজায় থাকছে।