এই সময়, সুতাহাটা: নির্দেশিকার বাইরে গিয়ে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যেই জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। স্কুলগুলির অবশ্য দাবি, সরস্বতী পুজোর ডায়েরি, আইডি কার্ড ছাড়াও স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন খরচের প্রয়োজন হয়। সে জন্যই অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের সম্মতিতেই এই টাকা নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ খোকন রায় প্রামাণিক জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন, সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার একাধিক সরকারি স্কুলে সরকারি নির্দেশিকা না মেনে ছাত্রভর্তিতে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। সরকারি নির্দেশিকায় রয়েছে, সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি ফি নিতে হবে ২৪০ টাকা। শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বলেন, 'আমাদের এলাকার একাধিক স্কুল ভর্তির জন্য ২৪০ টাকা নেওয়ার বদলে ৭০০-৮০০ টাকা করে নিচ্ছে। জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছি।'
সুতাহাটা ব্লকের পার্বতীপুর পতিত পাবন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীনেশ রায় প্রামাণিক বলেন, '২৪০ টাকা নেওয়ার নির্দেশিকা ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। আজ ২০২৫। স্কুলের সরস্বতী পুজো, ডায়েরি। আইডেন্টিটি কার্ড- এ সবের জন্য অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন হয়। বছরে দু'বার অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠক হয়। অভিভাবকদের সম্মতি নিয়েই ভর্তি ফি ৫০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। সারা বছর স্কুলের বিদ্যুতের বিল বাবদ মোটা টাকা দিতে হয়।' জেলা স্কুল পরিদর্শক পলাশ রায়কে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজ করলেও উত্তর আসেনি।