লখনউ: ২০০২ সাল। হিংসার আগুনে জ্বলছে গুজরাত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে ‘রাজধর্ম’ পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি। বৃহস্পতিবার বাজপেয়ির ১০১তম জন্মজয়ন্তীতেই লখনউয়ে রাষ্ট্রীয় প্রেরণাস্থলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতরত্ন বাজপেয়ির জীবন ও আদর্শের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে নবগঠিত এই জাতীয় সৌধ ও কমপ্লেক্সটি। ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবারই বড়দিনের উৎসব চলাকালীন দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলার অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে।
রাষ্ট্রীয় প্রেরণাস্থলে রয়েছে অটলবিহারী বাজপেয়ি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ৬৫ ফুট উঁচু ব্রঞ্জের মূর্তি। সঙ্গে রয়েছে ৯৮ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে পদ্মের আকারে তৈরি একটি স্টেট-অব-দ্য-আর্ট মিউজিয়াম। সরকারি সূত্রে খবর, মোট ৬৫ একক জায়গায় ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই রাষ্ট্রীয় প্রেরণাস্থল। এই জাতীয় সৌধ উদ্বোধনের পর এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘৩৭০ অনুচ্ছেদের প্রাচীর চূর্ণ করার সুযোগ পেয়েছে আমাদের সরকার। বিজেপি এজন্য গর্বিত। স্বাধীনতার পর কীভাবে সব ইতিবাচক সাফল্যকে একটি পরিবারের প্রতি উৎসর্গ করার প্রবণতা তৈরি হয়েছিল, সেকথা ভুললে আমাদের চলবে না।’ এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রীয় প্রেরণাস্থলের মিউজিয়ামটিও ঘুরে দেখেন তাঁরা।