• তোর্সার চরে ৫০০ শিশুকে নিয়ে ১০ টাকার পিকনিকে মাতলেন শিক্ষক ফণীভূষণ সাহা
    বর্তমান | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: জাঁকিয়ে শীত পড়েছে কোচবিহারে। তার সঙ্গে ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢেকে থাকছে। তারমধ্যে ২৫ ডিসেম্বর। উত্তরের এই প্রান্তিক জেলায় পিকনিকের ধুম পড়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে কোচবিহার-১ ব্লকের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব ফলিমারির তোর্সা নদীর চরে প্রায় ৫০০ শিশুকে নিয়ে ১০ টাকার পিকনিকে মেতে উঠেছেন শিক্ষক ফণীভূষণ সাহা। এবার এই পিকনিক সপ্তম বর্ষে পা দিল। সকাল সকাল কেক, মিষ্টি, চকোলেট দিয়ে টিফিন। দুপুরে ভাত, ডাল, সবজি, মুরগির মাংস, চাটনি সহযোগে পিকনিকের খাওয়াদাওয়া। শিশুদের মধ্যে আগামী দিনে সুস্থ সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই পিকনিকের আয়োজন করেন ফণীভূষণবাবু। পিকনিকে ১০ টাকা দিয়ে নাম লেখাতে হয়। কারণ, কারও যেন মনে না হয় যে, বিনে পয়সায় খাওয়াদাওয়া বা পিকনিক করছে। তাই পিকনিকে নাম লেখার সঙ্গে সঙ্গে একটি করে চিরকুট দেওয়া হচ্ছে। তাতে লেখা থাকছে, ‘আসুন সুন্দর সমাজ গড়ি।’ শিশু কিশোররা যেমন এই ১০ টাকার পিকনিকে শামিল হয়েছে তেমনি কোচবিহারের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই পিকনিকে শামিল হন। এদিনও উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সমরচন্দ্র মণ্ডল, বিশিষ্ট আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বাসবকান্তি দিন্দা সহ অন্যান্যরা।

    শিক্ষক ফণীভূষণ সাহা বলেন, আমরা গত সাত বছর ধরে এই ১০ টাকার পিকনিকের আয়োজন করে আসছি। এবারও প্রায় ৫০০ শিশুকিশোর এই পিকনিকে অংশগ্রহণ করেছে। সুস্থ সমাজ গড়ার লক্ষ্যে একটা বার্তা দিতেই এই পিকনিকের আয়োজন করা হয়। কোচবিহারের বহু বিশিষ্ট মানুষ আমাদের এই পিকনিকে সানন্দে শামিল হয়েছেন।

    শীতের মরশুমে বহু মানুষ পিকনিকে শামিল হলেও অনেকেই পয়সার অভাবে সেভাবে পিকনিক করতে পারে না। কিন্তু বছরের একটা দিন পিকনিকে শামিল হয়ে ভালো মন্দ খাওয়াদাওয়া করার ইচ্ছে কার না থাকে? কিন্তু অনেকেই পারিপার্শ্বিক চাপ, আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তা করে উঠতে পারে না। আর সেখানেই এই ১০ টাকার পিকনিকের মাহাত্ম্য। ছাত্র-ছাত্রী, স্থানীয় শিশুকিশোর সহ সকলকে একসঙ্গে শামিল করে কেক কাটা, নানা খেলাধুলায় দিনভর শামিল হওয়া থেকে শুরু করে বছরের একটা দিন বেশ জমে ওঠে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)