• ঝাড়গ্রামে কাল থেকে শুনানি ডাক ১৫ হাজার ভোটারকে
    বর্তমান | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে থেকে ঝাড়গ্রামে এসআইআরের  শুনানি শুরু হবে। এই জেলার ১৫ হাজার ১৪৯ জনকে শুনানিতে আসার জন্য নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। বিএলওরা বাড়ি বাড়ি সেই নোটিশ বিলির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। 

    জেলা প্রশাসন শুনানি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রথম থেকেই সতর্ক। শুনানিতে একটি বিধানসভায় একজন ইলেকট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার( ইআরও) ও  ১০ জন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট রির্টার্নিং অফিসার(এইআরও) দায়িত্বে থাকবেন। শুনানিতে জমা পড়া নথি ডিজিটাইজ করা হবে। জেলাশাসক সর্বশেষ সেই নথি সার্টিফাই করবেন। যেসব নথি দেখা হবে সেগুলি হল, কেন্দ্র, রাজ্য সরকার বা স্বশাসিত সংস্থার দেওয়া পরিচয়পত্র, পেনশন নথি। ১৯৮৭ সালের আগে কেন্দ্র, রাজ্য সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, সরকার অধিগৃহীত সংস্থার পরিচয়পত্র, শংসাপত্র বা অন্য যে কোনও নথি। জন্মের শংসাপত্র, বিশ্ববিদ্যালয় বা স্বীকৃত বোর্ডের শিক্ষার শংসাপত্র, প্রশাসনের স্থায়ী জমি, বাড়ি ও বাসিন্দার শংসাপত্র। বৈধ এসসি, এসটি, ওবিসি শংসাপত্র। এছাড়াও আধার ও পাসপোর্ট দেখা হবে। 

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমা শাসক ও বিডিও অফিসে চত্বরে শুনানি কেন্দ্রগুলি করা হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট ৯ লক্ষ ২ হাজার ১৪ জন ভোটার রয়েছেন। খসড়া তালিকায় ৫২ হাজার ৭৮৬ জনের নাম বাদ গিয়েছে। শুনানিতে ১৫ হাজার ১৪৯ জন ডাকা হচ্ছে। 

    ঝাড়গ্ৰাম বিডিও অফিস থেকে ২৭টি নোটিশ কপি পেয়েছেন ঝাড়গ্রাম বিধানসভার ১৭৩ নম্বর বুথের বিএলও উত্তম বারিক। তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২৫টি নোটিশ বিলি করেছি। ভোটারদের তথ্য সহ ছবি সংগ্রহ করেছি। ঝাড়গ্রাম বিধানসভার ২২০ নম্বর বুথের বিএলও সঞ্জীব চক্রবর্তী বলেন, আমার বুথে ৩৫ জনকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে। বিডিও অফিস থেকে শুনানির নোটিশের কপি পেয়েছি। আজ, শুক্রবার থেকে বিলি করা হবে। মহকুমা শাসকের অফিসে শুনানি কেন্দ্র করা হয়েছে। ২০২৬ সালে ৩ জানুয়ারি শুনানি কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।  

    বিনপুর-২ ব্লকের বিডিও সুমন ঘোষ বলেন, ব্লক প্রশাসন অফিসে ২৭ তারিখে থেকে শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে নন ম্যাপিং শুনানি প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের তরফে বিধানসভার প্রত্যন্ত এলাকায় শুনানি কেন্দ্র করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যাতে দূরবর্তী জঙ্গল ও পাহাড়ী এলাকার বাসিন্দারা নিজ এলাকায় শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। 

    জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ এলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গি বলেন, জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রত্যন্ত এলাকায় শুনানি কেন্দ্র করার জন্য বলা হয়েছিল। পাহাড় ও জঙ্গল অধ্যুষিত জেলার বাসিন্দাদের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে  মহাকুমা ও ব্লক অফিসের শুনানি কেন্দ্রে আসতে হবে। জেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে বলে আশা করছি।
  • Link to this news (বর্তমান)