• সোনামুখীতে হাতির হামলায় ভাঙল বহু বাড়ি, জয়পুরের গ্রামে সাবাড় ধানবস্তা
    বর্তমান | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: সোনামুখী ও জয়পুরে দু’টি পৃথক হাতির পালের হানায় জমির ফসল ও বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার রাতে ১০টি হাতির একটি দল সোনামুখীর বলরামপুর গ্রামে হানা দেয়। সেখানে কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে। সোনামুখী থেকে সাতটি হাতির অপর একটি দল ওই রাতে দ্বারকেশ্বর পেরিয়ে প্রথমে জয়পুরের বেলিয়া এলাকায় একটি খামারে হানা দেয়। সেখান থেকে রাতেই বিষ্ণুপুরের গুড়রবাসার জঙ্গলে আশ্রয় নেয়।

    বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত ডিভিশনের এডিএফও বীরেনকুমার শর্মা বলেন, সাতটি হাতির একটি দল দ্বারকেশ্বর পেরিয়ে বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। আশা করছি, ওই দলটি বৃহস্পতিবার রাতেই পশ্চিম মেদিনীপুরে রওনা দেবে। হাতির পালটি বেলিয়ায় কিছু ধান খেয়েছে। যাতায়াতের পথে ফসলের কিছু ক্ষতি করেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা আবেদন জানালে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

    বুধবার রাত ১টা নাগাদ ১০টি হাতি সোনামুখীর বলরামপুরে ঢোকে। প্রথমে স্থানীয় গুরুদাস রায়ের বাড়ির ছিটেবেড়ার দেওয়াল ভেঙে দেয়। পরে দেবু রায়ের বাড়ির ইটের দেওয়ালও ভেঙে ফেলে। ভাঙা দেওয়াল খাটের উপর পড়ে। সৌভাগ্যবশত তখন সেখানে কেউ ছিলেন না। দেবুবাবু বলেন, প্রতিদিন আমি ও স্ত্রী ওই খাটে ঘুমোই। কিন্তু বুধবার ছেলে ও বৌমা বাড়িতে না থাকায় আমরা তাদের রুমে ঘুমোতে গিয়েছিলাম। না হলে ভাঙা দেওয়াল আমাদের উপর পড়ত। ঠাকুর রক্ষা করেছেন।

    গুরুদাসবাবু বলেন, রাতে হঠাৎ আওয়াজ পেয়ে ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখি, উঠোনে দু’টি হাতি দাঁড়িয়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিই। কিছুক্ষণ পরেই আরও জোরে আওয়াজ শুনে ভয়ে কাঁপতে থাকি। আমাদের মাটির ছোট বাড়ি। পুরো বাড়ি ভেঙে দিলে আমরা সবাই চাপা পড়তাম। পরে গ্রামের অন্য লোকজন বেরিয়ে এলে দরজা খুলে দেখি, বারান্দার ছিটেবেড়ার দেওয়াল ভেঙে দিয়েছে। বুধবার রাতে জয়পুরের বেলিয়া গ্রামে একটি খামারে ধান ঝাড়াইয়ের পর বস্তায় ভরে রাখা হচ্ছিল। সেসময় সাতটি হাতি খামারে ঢুকে ধান খেতে শুরু করে। গ্রামের মানুষ চিৎকার শুরু করলে হাতির পালটি কয়েকটি বস্তা টেনে নিয়ে লাগোয়া জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। সেখানে বস্তা ছিঁড়ে ধান খেয়ে চলে যায়।
  • Link to this news (বর্তমান)