এই সময়, লাটাগুড়ি: অতিরিক্ত সাফারি চালু করেও বড়দিনে টিকিট না-পেয়ে বহু পর্যটক ফিরে গেলেন লাটাগুড়ি থেকে। এ দিন সকাল থেকে পর্যটকের ঢল নামে লাটাগুড়ি, মূর্তি, গজলডোবা, রামসাইয়ের মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে। গোরুমারার সমস্ত নজরমিনারের পাশাপাশি লাটাগুড়ির জঙ্গল সাফারির বুকিং ছিল পরিপূর্ণ। জঙ্গলে বন্যপ্রাণীর দেখা পেয়ে বেজায় উচ্ছ্বাসিত পর্যটকেরা।
লাটাগুড়িতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পর্যটকের একাংশ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আরও অতিরিক্ত চারটি জিপসি দেওয়া হয় বন দপ্তরের তরফে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকে টিকিট না-পেয়ে নিরাশ হয়ে ফিরে যান। অসীম সরকার নামে এক পর্যটক বলেন, 'ভিড় এতটাই ছিল যে, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও নিরাশ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হই।'
লাটাগুড়ির রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত বলেন, 'বড়দিনে ভিড় তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকায় পর্যটকের কথা চিন্তা করে আরও চারটি জিপসি দেওয়া হয়েছিল। একটি শিফটে সর্বাধিক ৩৪টি জিপসি জঙ্গল সাফারির সুযোগ পেলেও এ দিন তা বাড়িয়ে ৩৮টি করা হয়।' লাটাগুড়ি জিপসি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর দেব বলেন, 'ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে অতিরিক্ত জিপসি চালালেও বহু পর্যটক ফিরে যান।'
এ দিকে লাটাগুড়ি ম্যালে তিন দিনব্যাপী লাটাগুড়িতে এশিয়ান ফোক ফেস্ট শুরু হলো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায়, পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পর্যটকরাও সামিল হন এই ফোক ফেস্টে।