লখনৌ: প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ১০১তম জন্মবার্ষিকী পালনেও নিজের সরকারের কৃতিত্ব প্রচারের পাশাপাশি নাম না করে গান্ধী পরিবারকে বিঁধলেন প্রাইম মিনিস্টার নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার বাজপেয়ীর জন্মদিনে লখনৌয়ে ‘রাষ্ট্র প্রেরণা স্থল’–এর উদ্বোধন করেন নমো। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর জীবন–দর্শন স্মরণে তৈরি ওই ন্যাশনাল মেমোরিয়ালে রয়েছে বাজপেয়ীর ৬৫ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জ মূর্তি। তা ছাড়া শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের স্ট্যাচু এবং একটি মিউজ়িয়াম আছে ৯৮ হাজার বর্গফুট বিস্তৃত, পদ্ম–আকৃতির ‘রাষ্ট্র প্রেরণা স্থল’–এ।
উদ্বোধনের পরে বক্তৃতায় মোদী বলেন, ‘আমাদের সরকার যে আর্টিকল ৩৭০–এর দেওয়াল ভেঙে দিতে পেরেছে, সে জন্য বিজেপি গর্বিত।’ ওই অস্থায়ী সাংবিধানিক ধারায় বিশেষ স্টেটাস দেওয়া হয় জম্মু–কাশ্মীরকে এবং কেন্দ্রের ক্ষমতা সে ক্ষেত্রে ছিল সীমিত। ২০১৯–এর ৫ অগস্ট ওই ধারার বিলোপ ঘটায় মোদী সরকার।
এ দিন সে প্রসঙ্গের পাশাপাশিই নাম না করে গান্ধী পরিবারকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘স্বাধীনতার পরে কী ভাবে ভারতের সব সাফল্যের সঙ্গে একটি পরিবারের নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে, তা ভুললে চলবে না।’ তাঁর সরকার, এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে অন্য নেতাদের কৃতিত্বকেও স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে নমোর দাবি। সরকারি প্রকল্পের সুবিধে যাতে দল–মত নির্বিশেষে সকলে পান, কেন্দ্র এখন তা নিশ্চিত করেছে বলে জানান মোদী। বলেন, ‘২০১৪–র (তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বছর) আগে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলির সুবিধে পেতেন ২৫ কোটি মানুষ। এখন সেটাই বেড়ে হয়েছে ৯৫ কোটি।’
বাজপেয়ী ছাড়াও এ দিন ছিল মদনমোহন মালব্যের জন্মবার্ষিকী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই ভারতরত্নই দেশের স্বতন্ত্র পরিচয়, ঐক্য ও গৌরবকে সুরক্ষিত করে দেশনির্মাণে চিরস্থায়ী ছাপ রেখে গিয়েছেন।’
এ দিনের অনুষ্ঠানে মোদীর সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ–সহ অন্য নেতৃত্ব।