স্টাফ রিপোর্টার: তিনি মহাগুরু বা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী নন। তিনি সিপিএম করেন। কিন্তু তাঁর নামও মিঠুন চক্রবর্তী। হুগলি জেলা সিপিএমের ওই নেতা মিঠুন গিয়েছিলেন আদালতে হাজিরা দিতে একটি রাজনৈতিক মামলায়। আর কাঠগড়ার পাশে তাঁর নাম শুনেই আদালত কক্ষে বিচারক কিছুটা রসিকতা করেই বলে উঠলেন, “আরে! মিঠুন চক্রবর্তী? আপনি তো বিজেপিতে ছিলেন। সিপিএম হলেন কবে?”
আদালত সূত্রে খবর, মিঠুন তখন বিচারককে জানান, অভিনেতা মিঠুনের সঙ্গে নাম ও পদবির মিল থাকলেও, তিনি বরাবরই সিপিএমই করেন। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে হুগলি জেলার একটি নিম্ন আদালতে। সেখানে অন্যান্য সিপিএম নেতাদের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে যাওয়া সিপিএমের হুগলি জেলা কমিটির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীর নাম শুনে এমনই রসিকতা করেছেন বিচারক।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই হুগলিতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাত বাধে বিরোধী দলগুলির। সেই মামলাতেই আগাম জামিন নিতে জেলার নিম্ন আদালতে হাজির হয়েছিলেন সিপিএম নেতারা। আদালত জামিন মঞ্জুরও করেছে। আর সেই শুনানির সময়ই আদালতকক্ষে কাঠগড়ার পাশে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন জামিন নিতে যাওয়া সিপিএম নেতারা। এক এক করে নাম ডাকা হচ্ছিল আর সংশ্লিষ্ট সিপিএম নেতারা হাত তুলে জানান দিচ্ছিলেন যে, তাঁরা সশরীরে হাজির রয়েছেন।
একেবারে শেষে ডাকা হয় সিপিএমের হুগলি জেলা কমিটির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীর নাম। নেতা হাত তুলে জানান দেন, তিনি হাজির হয়েছেন। তখনই বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারক। তারপর বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে সিপিএম নেতা মিঠুনকে নিয়ে কিছুটা রসিকতা করেন।
জেলা সিপিএমের এক নেতার কথায়, “নামের সঙ্গে মিল থাকার ফলে অভিনেতা মিঠুন প্রথমে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ও বর্তমানে বিজেপিতে আসায় আমাদের পার্টির মিঠুনের একটু বিড়ম্বনা হচ্ছে।” হুগলি জেলা সিপিএমের মিঠুন পেশাগতভাবে পর্যটক সমন্বয়ের কাজ করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যান পর্যটকদের নিয়ে। মোটরবাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ান এলাকায় এলাকায়। বাম মহলে তিনি পরিচিত মুখও বটে। সামনের মাসে অর্থাৎ নতুন বছরের শুরুতেই তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন। এদিকে, আদালতের এই ঘটনা নিয়ে অবশ্য সংবাদ মাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সিপিএম নেতা মিঠুন চক্রবর্তী।