• ‘৬ বছর আগে ভুল করেছিলাম...’, BJP ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েই মন্তব্য অভিনেত্রী পার্নোর
    এই সময় | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগদান করলেন অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। ২০১৯ সালে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বরাহনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছিল তাঁকে। কিন্তু সেই সময়ে তৃণমূলের প্রার্থী তাপস রায়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। সেই সময়ে বিজেপি শিবির ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখালেন তিনি। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের উপস্থিতিতে তিনি শাসকদলে যোগদান করেন।

    এ দিন তৃণমূলে যোগদানের পরে পার্নো বলেন, ‘আজ আমার জন্য খুব বড় দিন। আমার নতুন পথে যাত্রা শুরু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এগিয়ে যাব। ছ’বছর আগে অবশ্যই বিজেপিতে যোগদান করেছিলাম। যে ভাবে ভেবেছিলাম, সে ভাবে বিষয়টি এগোয়নি। মানুষ ভুল করেই থাকে। তা শুধরে নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে বলে তৃণমূলে যোগদান।’

    এ দিন জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, বিজেপিতে অনেক দিন ধরেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন পার্নো। চন্দ্রিমা বলেন, ‘পার্নো মিত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে আকৃষ্ট হয়ে তৃণমূলে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। দলের সর্বোচ্চ নেত্রী তাঁকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।’ পার্নোর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘পার্নো অভিনয় জগতে আমার সহকর্মী। বিজেপির টিকিটে গত বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে তাঁকে আর রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন, এই বক্তব্য সঠিক নয়।  যেহেতু রাজনৈতিক ভাবে তিনি সক্রিয় ছিলেন না, তাই তাঁর তৃণমূলে যোগদান সেই দলের জন্য লাভের হবে না। আবার এতে বিজেপিরও কোনও ক্ষতি হবে না।’

    উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে অভিনয় জীবন শুরু করেন পার্নো। তাঁর যাত্রা শুরু ছোট পর্দা দিয়ে। এর পরে একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’, ‘আমি ও আমার গার্লফ্রেন্ড’, ‘মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর’।

  • Link to this news (এই সময়)