SIR শুনানিতে মা ও স্ত্রী, BJP-র চক্রান্ত দাবি নেতার
আজকাল | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: খসড়া ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও শুনানির জন্য তলব করা হল খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগের মা, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীকে। নির্বাচন কমিশনের এই নোটিস ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বিধায়কের অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের বিধায়ক হওয়াতেই বিজেপির চক্রান্তে নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে তাঁর পরিবারকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, অকারণেই শুনানিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁর মা নন্দরানী বাগ, ভাই বিপিন বাগ ও ভাইয়ের স্ত্রীকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খণ্ডঘোষে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ৪ নভেম্বর থেকে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএলও-রা এনুমারেশন ফর্ম বিলি করেন। গত ১৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের তরফে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম জমা দিয়েছেন কিন্তু যাঁদের ম্যাপিং সম্পূর্ণ হয়নি, তাঁদের নোটিস দিয়ে শুনানিতে ডেকে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই নবীন চন্দ্র বাগের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকা অনুযায়ী তাঁর মা নন্দরানী বাগের নাম খণ্ডঘোষ বিধানসভার ২৯ নম্বর বুথের ৪০৫ নম্বর সিরিয়ালে এবং তাঁর ভাই বিপিন বাগের নাম ৪০৬ নম্বর সিরিয়ালে স্পষ্টভাবে রয়েছে। এত পুরনো ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও কেন কমিশনের তরফে নোটিস পাঠানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক। তাঁর কথায়, “আমি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বলেই বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে আমার পরিবারকে মানসিক চাপের মধ্যে ফেলছে। নোটিস পাওয়ার পর আমার মা ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।”
এই বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা তো সামান্য ঘটনা। এটা নিয়ে এত হই চই করার কী আছে? হয়তো এঁদের নাম ভোটার তালিকায় আছে কিন্তু বিএলও-র অ্যাপে নেই। সেই কারণে হতে পারে। তাঁরা শুনানিতে গিয়ে দেখিয়ে দেবেন। তাহলেই তো মিটে যাবে। আর ভারতের নির্বাচন কমিশন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মতো নয়। এই রাজ্যের নির্বাচন কমিশন চলে তৃণমূল কংগ্রেসের কথায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন চলে নিজস্ব নিয়মে। সুতরাং বিজেপির উস্কানিতে বিএলও বিধায়কের পরিবারকে হেনস্তা করছে এ কখনও হতে পারে? কোন বিএলওর ধরে দু’টো মাথা আছে?”