লখনউতে ‘রাষ্ট্র প্রেরণা স্থল’ উদ্বোধন, জাতীয় ভাবাদর্শে নতুন ভারতের সংকল্প
প্রতিদিন | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে লখনউতে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার লখনউয়ের ‘রাষ্ট্র প্রেরণা স্থল’-এ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এদিন তিন মহান জননেতার পূর্ণাবয়ব মূর্তি এবং একটি ডিজিটাল মিউজিয়াম জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁর ভাষণে বলেন, ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীর আদর্শ আজ ভারতকে নতুন পথ দেখাচ্ছে। তিনি জানান, ডঃ মুখোপাধ্যায়ের ‘এক বিধান, এক নিশান, এক প্রধান’-এর স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ পেয়েছে। বিগত ১১ বছরে দেশে দারিদ্র্য দূরীকরণে যে সাফল্য এসেছে, তাকে তিনি পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ‘অন্ত্যোদয় দর্শন’-এর জয় হিসেবে বর্ণনা করেন। প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে এসেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আধুনিক ও আত্মনির্ভর ভারতের স্থপতি হিসেবে অভিহিত করেন যোগী। তিনি অটলজির সেই বিখ্যাত উক্তি মনে করান দেশবাসীকে, ‘আঁধেরা ছুটেগা, সূরজ নিকলেগা, কমল খিলেগা’। যোগী আদিত্যনাথের মতে, অটলজির সেই অদম্য বিশ্বাসই আজ মোদিজির নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ ও উন্নয়নের রূপ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে মদন মোহন মালব্য এবং বীর যোদ্ধা মহারাজ বিজলি পাসির প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এই বিশেষ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। লখনউয়ের এই ‘রাষ্ট্র প্রেরণা স্থল’ আগামী প্রজন্মের কাছে দেশপ্রেমের এক চিরস্থায়ী প্রতীক হয়ে থাকবে।