বড়দিনে কম ভিড় আলিপুর চিড়িয়াখানায়! কেন ‘মুখ ফেরাচ্ছেন’ পর্যটকরা?
প্রতিদিন | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নিরুফা খাতুন: বড়দিন মানেই ছুটি। শীতের রোদ গায়ে মেখে ইতিউতি ঘুরে বেড়ানো। খাবারদাবার, কমলালেবু নিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে গন্তব্য আলিপুর চিড়িয়াখানা। পা ফেলার জো নেই যেন সেদিন। অথচ সেই চিড়িয়াখানার চেনা ছবি বদল। এবার বড়দিনের ভিড়ে ভাটা। তবে কি চিড়িয়াখানা থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন আমজনতা, কী কারণে এমন হচ্ছে, সে কারণ অবশ্য ব্যাখ্যা করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
এবার ৪৪ হাজারের সামান্য বেশি মানুষ বড়দিনে চিড়িয়াখানায় পাড়ি জমান। চিড়িয়াখানায় ভিড়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বন্যপ্রাণীর টানে প্রতি বছর ৭৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান সেখানে। আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের মতে, সাধারণত বৃহস্পতিবার চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকে। আর বড়দিন ছিল বৃহস্পতিবার। যদিও উৎসবের মরশুমে চিড়িয়াখানা খোলা থাকে প্রতিদিন। তা সত্ত্বেও গুগল সার্চে দেখা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বন্ধ চিড়িয়াখানা। তার ফলে বহু পর্যটকের কাছে ভুল তথ্য পৌঁছেছে। আর তাই চিড়িয়াখানা যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন তাঁরা। সম্ভবত এই বিভ্রাটের কারণেই এবার বড়দিনে উল্লেখযোগ্য হারে ভিড় কমেছে বলেই মনে করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তাই সাধারণ মানুষের কাছে তাদের আর্জি, যেকোনও তথ্যের জন্য অবশ্যই আলিপুর চিড়িয়াখানার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নজর রাখা প্রয়োজন। তাতেই দূর হবে সমস্ত বিভ্রান্তি।
আলিপুর চিড়িয়াখানায় সদস্য সংখ্যা নেহাত কম নয়। বাঘ, সিংহ, জলহস্তীর পাশাপাশি চিতা-বিড়াল যোগ হয়েছে সদস্য সংখ্যা। এছাড়া রয়েছে মাউস ডিয়ার, সোয়াম্প ডিয়ার। বিশাখাপত্তনম থেকে আনা হয়েছে সাদা বাঘিনী। সবুজ অ্যানাকোন্ডাও এসেছে চিড়িয়াখানায়। মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক থেকে আনা হয়েছে ওই সরীসৃপকে। পাখি দেখার জন্য বিশেষভাবে তৈরি খাঁচার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যাতে মুক্তির স্বাদ পাবে পাখিরা। আর সাধারণ মানুষ বিশেষ খাঁচার ভিতর থেকে উপভোগ করতে পারবেন পাখিদের কিচিরমিচির। এমন নানাবিধ আকর্ষণের পরেও পর্যটকের সংখ্যা হ্রাসে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ। আগামী ১ জানুয়ারিও বৃহস্পতিবার। ওইদিন গুগল বিভ্রাটকে দূরে সরিয়ে কত মানুষ ভিড় জমান চিড়িয়াখানায়, সেটাই এখন দেখার।