• নজরে ছাব্বিশ, নতুন বছরের শুরু থেকেই অ্যাকশনে অভিষেক! কড়া বার্তা, 'এখন যুদ্ধের সময়'...
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  নজরে বিধানসভা ভোট। নতুন বছরের শুরু থেকেই অ্যাকশনের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। উত্তর থেকে দক্ষিণ। জানুয়ারি মাসে রাজ্যজুড়ে প্রচারে নামছেন তিনি। পয়লা জানুয়ারি থেকে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করল  তৃণমূল।

    আর বেশি দেরি নেই। এক-দেড় পরই হয়তো বাংলার বিধানসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেবে নির্বাচন কমিশন। জানুয়ারি থেকে কোমর বেঁধে মাঠ নামছেন অভিষেক।

    জানুয়ারিতে অভিষেকের সভা


    --


    ২ তারিখ-বারুইপুর


    ৩ তারিখ  জলপাইগুড়ি


    ৪ তারিখ বীরভূম


    ৭ তারিখ ইটাহার(উত্তর দিনাজপুর)


    ৮ তারিখ মালদহ


    ১৩ তারিখ কোচবিহার

    এদিকে ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাদিবস। সেদিন থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে নয়া কর্মসূচি। নাম, 'বাংলার সমর্থনের সংযোগ আর বাংলার সমর্থনের সংলাপ'। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে জনসংযোগে ইনফ্লুয়েনসারদের কাজ লাগাতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে প্রায় ১৮০০  ইনফ্লুয়েনসারদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্য়ে ২০০ জনের কাছে যাবেন মন্ত্রী ও সাংসদরা, আর বাকিদের কাছে বিধায়ক, জেলা সভাপতিরা। বস্তুত, সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে ৩৮ দলও গঠন করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    একমাসের কর্মসূচি। সময়সীমা ১৫ থেকে ৩০ দিন। ১৮০০  ইনফ্লুয়েনসারদের কাছে  উন্নয়নের পাঁচালি, বাংলার গৌরবোজ্জ্বল ১৫ বছর লেখা কিট তুলে দেবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তাতে থাকবে। তাতে থাকবে সরকারের রিপোর্ট কার্ড, স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা চিঠি ও মেমেন্টো। আজ, শুক্রবার দলীয়  বৈঠকে প্রচারের রূপরেখা তৈরি করে দিলেন অভিষেক।

    সূত্রের খবর, বৈঠকে অভিষেক বলেন, আমরাই একমাত্র দল ভারতবর্ষে। ক্ষমতায় থাকাকালীন কি কি কাজ করেছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ কাজের রিপোর্ট যা শ্বেতপত্র প্রকাশের মতো আমরা বাড়ি বাড়ি দিচ্ছি। একমাত্র দল যাদের এই সৎ সাহস আছে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাজের রিপোর্ট সকলের বাড়ি বাড়ি যাবে'। জানান, 'জেলাভিত্তিক কো-অর্ডিনেটর দেওয়া হবে। বাস্তবে এই জনসংযোগ কাজ কতটা হচ্ছে সেটার চোখ-কান হিসাবে কাজ করবেন তাঁরা। জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান তাদের মতো কাজ করবেন। জেলা কো-অর্ডিনেটর বাকিটা দেখবেন। আমি নিজে ২ জানুয়ারি থেকে কর্মসূচী শুরু করতে চলেছি'। 

    অভিষেকের বার্তা. 'যাদের কাছে যাবেন তাদের রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে যান।  কেন্দ্রের কাছে আমাদের দুই লক্ষ কোটি টাকা পাওনা। সেই টাকা থাকলে বাড়তি আমরা কি কি কর‍তে পারতাম। এই বোঝা থাকার পরেও লক্ষ্মীর ভান্ডার, রাস্তা, আবাসের বাড়ি দিয়েছি। অগ্রগতির গতি, বিজয় রথ অব্যাহত আছে। বিজেপি এই গতিকে বাধাপ্রাপ্ত করতে পারেনি। বাংলায় এসে বিজেপি নেতারা রিপোর্ট কার্ড চায়। আর ১১ বছর ধরে বিজেপি বাংলার জন্য কি করেছে তার রিপোর্ট কার্ড চাই। মানুষকে যেন পাশে পাই, সেটা নতজানু হয়ে বলতে হবে'। বলেন, 'আমরা দিল্লির বিজেপি নেতাদের কাছে হিসাব দিতে রাজি নই। আমরা বাংলার ১০ কোটি মানুষের কাছে হিসাব দিতে রাজি। ২০২১ সালে রাজনৈতিক ভাবে কুপোকাত হয়ে যাওয়ার পরে রাস্তা, বাড়ি, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ। আদালত বলার পরেও তা দেওয়া হচ্ছে না। এটাই সবাইকে বলতে হবে'।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)