নাম বিভ্রাটে SIR শুনানিতে ডাক! হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের যুবকের
প্রতিদিন | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: এসআইআর আতঙ্কে ফের মৃত্যু রাজ্যে! শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক ব্যক্তির। পরিবারের দাবি, পদবিতে ভুল থাকায় এসআইআরে শুনানি পর্বে ডাকে আসে। নোটিস হাতে পাওয়ার পর থেকেই চিন্তায় ছিলেন ব্যক্তি। তাতেই মৃত্যু! ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম নিমাই মাল। বয়স ৪৪ বছর। তিনি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার রায়পুরের বাসিন্দা ছিলেন। এসআইআরের খসড়া ভোটার তালিকায় নিমাইয়ের নাম থাকলেও পদবির গণ্ডগোলের জন্য তাঁর বাড়িতে শুনানির জন্য নোটিস পৌঁছয়। তারপর থেকেই আতঙ্কে ছিলেন তিনি। মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। পরিবার জানিয়েছে, ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় নিমাই মালের বাবার নাম রয়েছে শ্যামলাল রায়। অথচ ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় ছেলের নাম নিমাই মাল। বাবার পদবি ‘রায়’, ছেলের পদবি ‘মাল’। এই অমিল থাকায় নোটিস আসে। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নিমাইবাবু।
পদবি ভুল থাকায় সঠিক নথি দিতে হবে। থেকে কোন কোন কাগজ বা প্রমাণ দিলে ভুল সংশোধন করা যাবে সেই চিন্তায় মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। নথি জমা ও সংশোধন প্রক্রিয়া নিয়ে টানা টেনশনের মাঝে শুক্রবার দুপুর নাগাদ আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন নিমাই মাল। তাঁকে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত নিমাই মালের স্ত্রী পরিবালা মাল জানান, “পদবির গণ্ডগোলের জন্য শুনানির নোটিস পাওয়ার পর থেকে খুব আতঙ্কে ছিলেন। কী করে এতবড় ভুল হল, চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারেননি। শ্বশুরের পদবি রায় আর স্বামীর পদবি মাল। কীভাবে এই গণ্ডগোলের সমাধান হবে এটা আমরা খুব দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। শুক্রবার সকাল থেকে সব কাগজপত্র বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। আচমকা বেলা এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে।” রায়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান নাজমুল হক বলেন, “বাবার পদবি ও নিমাইয়ের পদবির অমিল হওয়ায় নোটিস এসেছিল। সঠিক নথিপত্র নিমাই মালের কিছু না থাকায় আতঙ্কে মারা গিয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।”