• সংসার চালিয়েই কবাডি ‘চ্যাম্পিয়ন’, মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ায় আপ্লুত মেদিনীপুরের অর্পিতা
    এই সময় | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন স্কুল টিমে কবাডি খেলা দিয়ে শুরু। ওই বছরই (২০১৭ সালে) বাবাকে হারিয়েছেন মেদিনীপুর শহরের মহতাবপুর এলাকার বাসিন্দা অর্পিতা ঘোড়াই। লড়াই ছাড়েননি তার পরেও। বছর ২০-র অর্পিতা এখন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা টিমের অন্যতম সদস্যা। ২০২০-২১ জঙ্গলমহল কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অর্পিতার হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্পিতার প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের ‘লড়াকু’ কন্যা অর্পিতা চাকরি পেয়ে আপ্লুত। ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

    শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) মেদিনীপুর পুরসভার তরফে অর্পিতাকে সংবর্ধিত করা হয়। সেই সঙ্গে জাতীয় স্তরের একটি প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য অর্পিতার উত্তরপ্রদেশের যাওয়ার খরচ স্বরূপ কিছু অর্থও তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের পুরপ্রধান সৌমেন খান-সহ পুরসভার আধিকারিক ও কাউন্সিলাররা।

    সৌমেন বলেন, ‘অর্পিতা আমাদের শহর তথা জেলার গর্ব। সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন বাবাকে হারিয়েও দমে যায়নি সে। বাড়িতে মা আর অসুস্থ দাদা আছেন। পড়াশোনা আর খেলাধুলার সঙ্গে সংসার সামলাতে হয় ওকে। মুখ্যমন্ত্রী ওর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ায় আমরা খুব খুশি। আমরাও ওর পাশে আছি।

    অর্পিতা এখন মেদিনীপুর সিটি কলেজের তৃতীয় বর্ষের বাংলা বিভাগের ছাত্রী। জেলার চ্যাম্পিয়ন টিমের বেশিরভাগ সদস্যার হাতে আগেই সিভিক পুলিশে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। তবে, অর্পিতার বয়স তখন ১৮ না হওয়ায় চাকরি পাননি। অবশেষে নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে আপ্লুত তিনি।

    অর্পিতা বলেন, ‘এ বার আরও মন দিয়ে খেলতে পারব। আর পড়াশোনাটাও চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই! আমাদের মতো দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের কাছে এই চাকরির গুরুত্ব অপরিসীম।' অর্পিতার দাদা বিশেষভাবে সক্ষম। তাই মায়ের সঙ্গে দাদার খেয়ালও রাখতে হয়। শুক্রবার মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নিজের সেই লড়াইয়ের কথাই শোনালেন মেদিনীপুরের এই ধন্যি মেয়ে।

  • Link to this news (এই সময়)