• গরিবদেরও তবলা শেখাই, মোদিকে শোনালেন বাল পুরস্কার জয়ী নদীয়ার সুমন
    বর্তমান | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘তবলা বাজিয়ে কী করবে? কেন বাজাও?’ রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার প্রাপ্ত নদীয়ার হাবিবপুরের সতেরো বছরের সুমন সরকারের কাছে জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শান্ত সুমনও জানাল, ‘হারিয়ে যেতে বসেছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। তালবাদ্য। তাই আধুনিক তালবাদ্যের যন্ত্রপাতির সঙ্গে যুদ্ধ করেও তবলা বাজাই। শুধু নিজে নয়। শেখাইও গরিবদের। পুরস্কারের প্রাপ্ত অর্থ থেকে কিনে দিই তবলা।’ যা শুনে মুগ্ধ মোদি। আশীর্বাদ করেন, ‘আগে বাড়ো।’ 

    তিন বছর বয়স থেকে তবলা বাজানো শিখেছেন সুমন। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে কেড়েছেন নজর। পেয়েছেন ৪৩টি শংসাপত্র। ডোভার লেন সহ আমেরিকাতেও দর্শক-শ্রোতাদের শুনিয়েছেন তাঁর তবলার বোল। তাই এহেন সুমনকে ‘শিল্প-সংস্কৃতি’ বিভাগে রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কারে বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। শুক্রবার বিজ্ঞান ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর হাতে তুলে দেন সম্মান। পরিয়ে দেন মেডেল। পরে ভারত মণ্ডপমে এক আলাপচারিতার আসরে দেখা হয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। 

    স্রেফ সুমনই নয়। এদিন আরও ১৯ জনকে দেওয়া হল রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার। কাউকে দেওয়া হল সাহসিকতার জন্য। কেউ পেল ক্রীড়া, সামাজিক সেবায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাঞ্জাবের ফিরোজপুরের ১০ বছরের বালক শ্রবণ সিং। তাঁর কৃত্বিত্ব সাহসিকতায়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিন্দুরের সময়ে সীমান্তবর্তী গ্রামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সে খাইয়েছে দুধ, দই, চা। যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও ভয় পায়নি। তাই ছোট্ট শ্রবণকে এদিন রাষ্ট্রপতি তুলে দিলেন পুরস্কার। প্রধানমন্ত্রীও কাছে টেনে করলেন আদর। ‘ভয় করেনি? নরেন্দ্র মোদি জানতে চাইলে ছোট্ট শ্রবণ বলল, ‘মেনু ডর নেহি লগদা’ বিহারের সমস্তিপুরের ১৪ বছরের কিশোর বৈভব সূর্যবংশীকেও সম্মান জানানো হল। আইপিএলে যে অনবদ্য রান করেছে। তাই তাঁকে বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, দেশ কা নাম রোশন করনা হ্যায়।
  • Link to this news (বর্তমান)