নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনায় সাড়া মিলছে না। আর তাই এবার বাড়িতে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হলে সরকারি ভরতুকির পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি সূত্রের খবর, বিদ্যুতের বিল হ্রাস এবং ক্রমেই কয়লা নির্ভরতা কমিয়ে পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ বেশি করে চালু করাই এর লক্ষ্য। সম্প্রতি এই কারণেই পরমাণু বিদ্যুৎ সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করা হয়েছে। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে অবাধ ছাড় দেওয়া হয়েছে বেসরকারি সংস্থাকে। এব্যপারে বেসরকারি সংস্থাগুলির আগ্রহ বাড়াতে আইনি সুরক্ষাবলয়ও দেওয়া হয়েছে।
সরকারের বক্তব্য, আগামী দুনিয়ায় পরমাণু, সোলার, অপ্রচলিত বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়বে। সব দেশ এই প্রকল্পই নিচ্ছে। এই নব উদ্যমে তাই সোলার সিস্টেম বাড়ির ছাদে বসানোর জন্য এবার ভরতুকির পরিমাণ ৭৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। আসন্ন বাজেটে এই ঘোষণা করা হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, এবার ২ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার প্যানেল বসাতে একটি সিস্টেমের জন্য ভরতুকি দেওয়া হবে ৪০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। যা এখন ৩০ হাজার টাকায় সীমাবদ্ধ। দুটি প্যানেল বসানো হলে ৭৮ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে ভরতুকি। সরকার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ১ কোটি সোলার প্যানেল স্থাপন করা। ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত করা হয়েছে ১৬ লক্ষ। যা চরম হতাশাব্যঞ্জক। কারণ, এই বিপুল জনসংখ্যার দেশে এই রেকর্ড যথেষ্ট নিরাশার। তাই এবার বাজেটে অন্তত ২৬ হাজার কোটি টাকা নতুন করে বরাদ্দ করা হবে শুধুই এই প্রকল্পে। প্রসঙ্গত, শুধু সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনাই নয়, সাম্প্রতিককালে মোদি সরকারের ঘোষণা করা একের পর এক প্রকল্প কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত দুই বছরে সবথেকে বেহাল দশা ইন্টার্নশিপ প্রকল্পে। এমনকী অডিটে পর্যন্ত গরমিল ধরা পড়েছে। অর্থাৎ যে আবেদনকারী ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নাম আপলোড করা হয়েছে, সেইসব নাম ঠিকানার অনেকগুলির অস্তিত্বই নেই। প্রশিক্ষণের জন্য স্টাইপেন্ডের পরিমাণেও কেউ আগ্রহী হচ্ছে না। আর তাই মাঝেমধ্যেই স্টাইপেন্ডের পরিমাণ বাড়ানো, ইন্টার্নশিপের পর চাকরি প্রদানের প্রতিশ্রুতি ইত্যাদি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্প বিশ বাঁও জলে এখনও।