‘মিডিয়ার দোহাই দিয়ে হিন্দুর উপর অত্যাচারের দায় এড়ানো কতদিন’, ইউনুস সরকারকে সতর্ক করে বার্তা নয়াদিল্লির
বর্তমান | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে কঠোর মনোভাব প্রকাশ করল ভারত সরকার। বিদেশ মন্ত্রক এবার সরাসরি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জবাব চেয়ে বলল, রাজনৈতিক হিংসা কিংবা মিডিয়ার মনগড়া কথা বলে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনার দায় এড়িয়ে যাওয়া আর কতদিন ধরে চলবে? মন্ত্রক শুক্রবার জানিয়েছে, বিগত ১৫ মাসে অর্থাৎ এই সরকারের আমলে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ২ হাজার ৯০০ ঘটনা ঘটেছে । বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, হত্যা, গণপিটুনি, বাড়ি ভাঙচুর, জমি-বাড়ি দখল করা, অগ্নিসংযোগ, শ্লীলতাহানি কোনওটাই বাকি থাকেনি। ভারত সরকার বাংলাদেশের এই ক্রমবর্ধমান হিন্দু অত্যাচার নিয়ে প্রবল উদ্বিগ্ন। ক্ষোভও প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ঘটনা বেড়েই চলেছে। কিন্তু যথাযথ কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। জয়সওয়াল বলেছেন, ভারত আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এখনও আবার বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হচ্ছে যে, এই প্রবণতা বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার কূটনৈতিকভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে। আমরা অপেক্ষা করছি সমাধান হবে। ভারত সরকার আরও একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, মিডিয়ার অপপ্রচার, রাজনৈতিক সংঘর্ষ এরকম সব কথা বলেছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু সেগুলি গ্রহণযোগ্য নয়। ময়মনসিংহে এক হিন্দু যুবককে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেটা নিয়ে আমরা আগেই বলেছি। তারেক রহমান ১৭ বছর পর আবার বাংলাদেশে ফিরেছেন। সেই প্রসঙ্গে জয়সওয়াল বলেন, ভারত অবাধ শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতির নির্বাচনকে সমর্থন করে। তারেক রহমানের ফিরে আসা যদি সেই দিকেই অঙ্গুলিহেলন করে কিংবা ঘটনার গতিপ্রকৃতিকে এগিয়ে দেয় সেটা ইতিবাচক।