• লাগাতার উসকানি পাকিস্তান-বাংলাদেশের, বঙ্গ সীমান্তে এবার ড্রোন জ্যামার
    বর্তমান | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • স্বার্ণিক দাস, কলকাতা: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ঢাকাকে লাগাতার উসকানি দিচ্ছে পাকিস্তানও। ওপারের উত্তেজনার রেশ ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে কলকাতায়। এই পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ড্রোন অনুপ্রবেশ ও হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা রা‌জ্য পুলিশের। আর তাই গোয়েন্দা এজেন্সির থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রথম সীমান্তে আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি) রুখতে উন্নত প্রযুক্তির অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম ইনস্টল করছে ভবানী ভবন। সঙ্গে থাকছে ড্রোন ঩বিনাশকারী জ্যামার গানও। অনুপ্রবেশকারী ‘ইউএভি’ দেখলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিগন্যাল দেবে জ্যামার। জানা যাবে তার সঠিক লোকেশন। সঙ্গে সঙ্গে সেই লোকেশনে জ্যামার গান তাক করে ড্রোনটি ধ্বংস করতে সক্ষম এই নয়া প্রযুক্তি। রাজ্য পুলিশের কোস্টাল বিভাগের তরফে ইতিমধ্যেই ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই সিস্টেম ইনস্টল করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। 

    অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেমটি মূলত তিনটি সেন্সরের উপর নির্ভরশীল—রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি, রেডার ও অ্যাকুস্টিক সেন্সর। তা ট্র্যাক করে ড্রোন বা ইউএভি’র রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিকে। পুরো ৩৬০ ডিগ্রি নজরদারি চালাতে সক্ষম এই সিস্টেম। রেডারে এমন কোনও ড্রোন বা ইউএভির অস্তিত্ব ধরা পড়লেই কন্ট্রোল রুমে অ্যালার্ট পাঠাবে এই উন্নতি প্রযুক্তি। কিন্তু, সেই অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে কীভাবে? তার জন্য দু’টি অ্যান্টি ড্রোন গান বা জ্যামার কিনছে রাজ্য পুলিশ। সেটি অনুপ্রবেশকারী ড্রোনের ইনপুট ও আউটপুট সিগন্যাল জ্যাম করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। জ্যামার গানে থাকছে লেজার রেও। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কোনও ড্রোনের দিকে সেই লেজার তাক করলে সেটির কার্যক্ষমতা শেষ। সঙ্গে সঙ্গে সেটি মাটিতে পড়ে যাবে।

    রাজ্য পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি নিয়ে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে গোয়েন্দা এজেন্সিগুলি। তার মধ্যে অন্যতম—বর্ডারে কোন কোন জায়গায় বিএসএফের নজরদারিতে খামতি রয়েছে, সেই তথ্য। সেই জায়গাগুলিতে ড্রোন প্রবেশ করাতে পারে সন্ত্রাসবাদী বা দুষ্কৃতীরা। টার্গেট করা হতে পারে এপার বাংলাকে। অপারেশন সিন্দুরের সময় বাংলার আকাশে বেশ কিছু সন্দেহজনক ‘ইউএভি’ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ড্রোন অনুপ্রবেশ রুখতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বাংলার সীমান্তকে আঁটোসাঁটো রাখতেই অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম ও জ্যামার গান ইনস্টল করা হচ্ছে। এক আধিকারিক বলেন, ‘এই যন্ত্র অত্যন্ত হালকা। সেটিকে মাটিতে বা বিশেষ গাড়ির মাথায় ইনস্টল করা যাবে। প্রয়োজন মতো তার জায়গাও বদল করা যাবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)