নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রেকর্ড ভাঙার মাস হল এই ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার কলকাতার পারদ নেমে ১৩.৭ ডিগ্রিতে এসেছিল। শুক্রবার পারদ আরও নেমে হল ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও শহরবাসীর বক্তব্য, ঠান্ডা সবচেয়ে বেশি লাগছিল বৃহস্পতিবারই। কারণ শুক্রবার সূর্যের তেজ ছিল ভালোরকম। দু’পা হাঁটাহাঁটি করলে শরীর থেকে খুলতে হয়েছে গরম জামা। যে শীতল বাতাস বৃহস্পতিবার বয়ে গিয়েছে, সেই হাওয়া শুক্রবার ছিল না।
কলকাতায় আজ সর্বোচ্চ তপমাত্রা ছিল ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪.৪ ডিগ্রি কম। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সকালের দিকে কুয়াশার প্রভাব বেশি থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে আসতে বাধা পাচ্ছে। তার ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমেছে। কলকাতা ১৩ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকলেও পার্শ্ববর্তী এলাকা দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সল্টলেক ১৩.৫ ডিগ্রি। যদিও কলকাতার আশপাশের এলাকার মধ্যে কল্যাণীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি। খুব পিছিয়ে নেই বারাকপুর। সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ১০.৬ ডিগ্রি। উলুবেড়িয়া, ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং, মগড়া, বসিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১১.৫, ১২.২, ১১, ১১.৬, ১১.৫ ডিগ্রি। বারাকপুর থেকে কলকাতায় আসা তীর্থ সেনগুপ্ত নামের এক ব্যক্তি বলেন, শহরে আসার পর একটু গরম লাগছিল ঠিকই। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরনোর সময় বেশ ঠান্ডা লেগেছে। আবার রাতে ফেরার সময়ও ঠান্ডা হাওয়া লাগার ভয় আছে।
এদিন বিকেল হতেই ঝুপ করে নেমেছে তাপমাত্রা। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার সময় বারুইপুরের বাসিন্দা কল্যাণ রায় বলেন, দুপুরের দিকে বেশ গরম লাগছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় জ্যাকেট-মাফলার সবই পরতে হয়েছে। বছর শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তার মধ্যেই তাপমাত্রা নামার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, এখন ঘুম থেকে উঠেই দেখে নিচ্ছি তাপমাত্রা কত। সেই অনুযায়ী ঠিক করছি গরমজামা কতগুলো নিতে হবে।