• মায়ানমারে আটকে শতাধিক যুবক, প্রধানমন্ত্রীর কাছে জরুরি পদক্ষেপের আর্জি গুজরাটের বিধায়কের
    এই সময় | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • আন্তর্জাতিক সাইবার কেলেঙ্কারির ফাঁদে পা দিয়ে চরম বিপদে শতাধিক যুবক। চাকরির নামে মায়ানমারে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভাইরাল অডিয়ো বার্তা নজরে আসার পরেই সক্রিয় হন গুজরাটের ভাদোদরার বিধায়ক কেতন ইনামদার। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই ভারতীয় যুবকদের উদ্ধারের জন্য আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

    জানা গিয়েছে, গুজরাটের ভদোদরার সন্ধাশাল গ্রামের এক যুবক কুঞ্জন শাহ একটি অডিয়ো বার্তার মাধ্যমে নিজেদের দুর্দশার কথা জানিয়েছেন। ওই যুবকের দাবি, ‘আমাদের এখানে চাকরির লোভ দেখিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৮ ঘণ্টা অবৈধ কাজে বাধ্য করা হয়। সুযোগ পেলে আমরা পালিয়ে যেতাম কিন্তু তার উপায় নেই। এখন আমাদের কাছে টাকা নেই, ফোন ব্যালেন্স নেই এবং কোনও সহায়তা নেই।’

    সাহায্যের আর্জি জানিয়ে কুঞ্জন জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে আরও ১০০ যুবক সেখানে আটকে। যাদের বেশিরভাগই ভদোদরা জেলার সাভলি এবং দেশার তালুকের বাসিন্দা। ভুক্তভোগীদের দাবি, যে সহজ কাজ এবং আকর্ষণীয় বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুয়ো ডেটা-এন্ট্রি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের মায়ানমার আনা হয়। কিন্তু এখানে তাঁদের জোর করে অবৈধ ও সাইবার জালিয়াতির কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ।

    দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ সম্প্রতি মায়ানমার-ভিত্তিক একটি সাইবার ক্রাইম র‍্যাকেটের সন্ধান পেয়েছে শুনে তাদের ভয় আরও বেড়ে যায়। একই অপরাধমূলক নেটওয়ার্কে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বুঝতে পেরে, যুবকরা কোম্পানি থেকে পালিয়ে যায়। তারা দাবি করেছে যে, তারা মায়ানমারের মায়া ওয়াদি এলাকায় একটি জায়গায় গা-ঢাকা দিয়ে আছে। কুঞ্জনের বাবা-মা জানান, চার মাস আগে কাজের খোঁজে সে থাইল্যান্ড এবং তার পরে মায়ানমারে গিয়েছিল। ইতিমধ্যে, গুজরাটের ভুক্তভোগীদের পরিবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাঁদের সন্তানদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানিয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)