সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির আবহাওয়া উন্নতির বিশেষ লক্ষণ নেই! আজ, শনিবার ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ে রাজধানী। আগামিকাল রবিবার ও সোমবার হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। পূর্বাভাস, ভোর নাগাদ দৃশ্যমানতা কম থাকবে। ট্রেন ও বিমান চলাচলে প্রভাব পড়তে পারে। এদিকে, শনিবারও দিল্লির একিউআই (AQI) খারাপই রয়ে গিয়েছে। বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে যাত্রীদের বিমানের সময় দেখে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী দিনগুলিতে আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে। ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর ঘন কুয়াশা দেখা যাবে। ৩০ ডিসেম্বর থেকে, কুয়াশার তীব্রতা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। ধোঁয়াশা ও দূষণের জেরে দীপাবলির পর থেকে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। শনিবার সকাল দিল্লির বাতাসের সামগ্রিক গুণমান সূচক (একিউআই) ৩৩২, যা নির্দেশ করে রাজধানীর বাতাস প্রায় ‘ভয়াবহ’ পর্যায়ে রয়েছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি নরেলা (৪১৭), জাহাঙ্গীরপুরী (৪১৭), নেহরুনগর (৪০২), মুন্ডকা (৩৭৫) জেএলএন স্টেডিয়াম (৩৪০), আইজিআই বিমানবন্দর (২৪৮), দ্বারকা সেক্টর (২৪৮)। রাজধানী এবং তার আশপাশের এলাকায় ‘ধোঁয়াশা’ তৈরি হয়েছে, যা দৃশ্যমানতাকে কার্যত শূন্যে নামিয়ে আনার পাশাপাশি জনজীবনও বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
দূষণ মোকাবিলার জন্য রাজধানীতে সর্বোচ্চ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি জারি রয়েছে। তারপরও অবশ্য দিল্লির বাতাসের গুণমানের খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না। দূষণ রোধে সম্প্রতি ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। তার ট্রায়ালও হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না হওয়ার মতো। অথচ তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বেড়েছে দূষণ। এহেন পরিস্থিতিতে দিল্লির বাতাস শিশু ও বর্ষীয়ানদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই চোখজ্বালা ও ক্রমাগত কাশির উপসর্গ রয়েছে। জল স্প্রে করে দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।