বঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবায় ডিজিটাল বিপ্লব! টেলিমেডিসিনে নজির ৩ জেলার
প্রতিদিন | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় চালু হয়েছে ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’ প্রকল্প। টেলিমেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামে বসেও চিকিৎসা পৌঁছে যাচ্ছে দরজায় দরজায়। নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন, এখনও পর্যন্ত ৭ কোটি মানুষ এই পরিষেবা পেয়েছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনে রিভিউ বৈঠকে দেখা গেল বাংলার তিন জেলা নজির গড়েছে টেলিমেডিসিনে। যার প্রথম স্থানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। দ্বিতীয় স্থানে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ। তৃতীয় স্থানে পূর্ব মেদিনীপুরের তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ। ১০ হাজারেরও বেশি ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’-রয়েছে বাংলায়। সেই সব জায়গায় এই পরিষেবা উপলব্ধ। আশাকর্মীরা প্রত্যন্ত গ্রামে রোগীর বাড়ি বাড়ি যান। কারও কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তাঁকে নিকটবর্তী সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সেখান থেকেই ফোন করে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে মেলে উন্নতমানের চিকিৎসা। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা.করবী বড়াল জানিয়েছেন, “টেলিমেডিসিন পরিষেবায় বাংলায় আমাদের মেডিক্যাল কলেজ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়।। আগামী দিনে যাতে অন্যরাও উৎসাহিত হয় তার জন্যই এই সম্মান প্রদান।”
শুক্রবার স্বাস্থ্যভবনের রিভিউ বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের সুপার, অধ্যক্ষ। বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা ইন্দ্রজিৎ সাহা। টেলিমেডিসিন পরিষেবা ছাড়াও এদিন একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় স্বাস্থ্যভবনে। স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যেটুকু ফাঁকফোকর রয়েছে, তা মেরামত করে আগামীতে আরও উন্নততর পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই এই বৈঠক।
কোন কোন বিষয় আলোচনা হল শুক্রবার। সিংহভাগ সরকারি হাসপাতালে চালু রয়েছে ই-প্রেসক্রিপশন পরিষেবা। সেই পরিষেবাকে আরও সংগঠিত করার কথা বলা হয় শুক্রবার। স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকর জানিয়েছেন, ই-প্রেসক্রিপশন বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রেসক্রিপশন ডিজিটাইজড বলে তা হারানোর ভয় থাকবে না। কম্পিউটারের মেমোরিতে, রোগীর মোবাইলে তা থেকে যাবে। চিকিৎসকের হাতের লেখা অনেক সময় বুঝতে সমস্যা হয় রোগীর পরিবারের কিন্তু ই-প্রেসক্রিপশনে সেই ঝঞ্ঝাট নেই।
পিপিপি মডেলে একাধিক হাসপাতালে চালু রয়েছে। সিটিস্ক্যান, ডায়ালিসিস, এমআরআই পরিষেবা। তা নিয়েও এদিন আলোচনা হয় স্বাস্থ্যভবনে। পিপিপি মডেলে চালু থাকা এই পরিষেবায় টেস্টের খরচ নামমাত্র। গ্রামাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে তা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কথাও বলা হয় বৈঠকে। আসন বাড়ছে বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজে।
সূত্রের খবর, যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে আসন দু’শোর কম, সেগুলোয় গড়পড়তা পঞ্চাশটি করে আসন বাড়ানো হবে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে দেড়শো আসন ছিল, তা বেড়ে দু’শো আসন হবে। অন্যদিকে আসন বাড়বে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ, কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ,
জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজেও।