গত বছরের পাসপোর্টের আবেদন যাচাই ৩১ তারিখের মধ্যে, নির্দেশ লালবাজারের
আনন্দবাজার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাসপোর্টের জন্য আবেদন জমা পড়েছিল কয়েক হাজার। বছর ঘুরতে চললেও তার মধ্যে এখনও যাচাই হয়নি ৩৮১টি আবেদন। ওই সব আবেদনের নথি খতিয়ে দেখে সেগুলি যাচাইয়ের রিপোর্ট চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে পুলিশের পাসপোর্ট অফিসারদের নির্দেশ দিল লালবাজার। ওই সময়ের কোনও আবেদন এখনও আটকে থাকলে তার কারণ কী, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে অফিসারদের। উল্লেখ্য, চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২৫ সালে পাসপোর্টের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ২৫ হাজারের কাছাকাছি।
কেন ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের ওই আবেদনগুলি বছরের বিভিন্ন সময়ে করা হয়েছিল। তার মধ্যে বেশির ভাগই প্রবাসীদের আবেদন বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, পাসপোর্ট অফিসার ওই আবেদনের তথ্য বা নথি যাচাই করতে গিয়ে আবেদনকারীকে অধিকাংশ সময়ে খুঁজে পাননি। আবার, অনেক ক্ষেত্রে নথি ঠিক মতো না থাকায় সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসার ছাড়পত্র দেননি। বর্তমানে সেই নথি ফের নতুন ভাবে যাচাই করে জানাতে বলা হয়েছে। ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি আবেদন বকেয়া রয়েছে নেতাজিনগর থানায়। এর পরেই রয়েছে রিজেন্ট পার্ক এবং কসবা থানা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এর পাশাপাশি চলতি বছরের বকেয়া প্রায় ২৫ হাজার আবেদন কমানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ দিকে ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির চক্রের কথা সামনে আসে। ভুয়ো নথি এবং তথ্য দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট বানিয়ে তাঁদের বিদেশে পাঠাতে সাহায্য করেছিল ওই চক্রটি। বেশ কয়েক জন গ্রেফতার হওয়ার পরে পুলিশের নথি যাচাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এর পরেই পুলিশকর্তারা ভুয়ো নথি দিয়ে পাসপোর্ট বানানো ঠেকাতে আবেদনের সময়ে দেওয়া নথি যাচাইয়ের উপরে আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ দেন। লালবাজার নির্দেশ দেয়, আবেদনের সঙ্গে জমা দেওয়া নথি আসল না জাল, তা জানার জন্য আগে সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে। সেখান থেকে সদর্থক উত্তর এলে তবেই সেই নথি যাবে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে উত্তর আসতে সময় লাগছে। নথি প্রদানকারী সংস্থা কর্তৃপক্ষ ভিন্ রাজ্যের হলে সময় লাগছে আরও বেশি। তার জেরেই পাসপোর্টের নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া থমকে যাচ্ছে। দীর্ঘ হচ্ছে বকেয়া আবেদন। তবে লালবাজার সূত্রের খবর, বহু আবেদন জমে যাওয়ায় অফিসারদের বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাগাদা দিতে। বকেয়া আবেদনের ভার কমাতে পাসপোর্ট অফিসারের সঙ্গে এক জন সহকারীও দেওয়া হয়েছে।