• SIR শুনানি শুরু, বাদ যাওয়া নাম তোলা কঠিন! তবু এই নথিগুলো হাতে থাকলে লড়ে যাবেন, হাল ছাড়বেন না...
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • রক্তিমা দাস: শনিবার থেকে শুরু হয়েছে SIR প্রক্রিয়ার শুনানি। তার জন্য রাজ্য জুড়ে ৩ হাজার ২৩৪ টি হিয়ারিং কেন্দ্র করা হয়েছে। ভোটার ছাড়া শুনানি কেন্দ্রে পাঁচ জনের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে এই হিয়ারিং। থাকবেন Blo, aero, ero ও মাইক্রো অবজারভার, কোনও কোনও জায়গায় blo সুপারভাইজার আছেন। হিয়ারিংয়ে কার্যত সিসিটিভির ভূমিকা পালন করছেন মাইক্রো অবজার্ভাররা। হিয়ারিংয়ে ফলস নথি দিলে, ধরা পড়লে কমপক্ষে ১ বছরের জেল ও জরিমানা হবে। শুনানিতে ডাকা হয়েছে মূলত এনিউমারেশন ফর্মে কোনও ম্যাপিং না দেখানো কমবেশি প্রায় ৩২ লাখ ভোটারকে। 

    SIR শুনানিতে যে যে নথি দরকার-

    ১. যেকোনো কেন্দ্রীয় সরকার/রাজ্য সরকার/পিএসইউ-এর নিয়মিত কর্মচারী/পেনশনভোগীর নামে জারি করা যেকোনো পরিচয়পত্র/পেনশন প্রদানের আদেশ।

    ২. ০১.০৭.১৯৮৭ সালের পূর্বে সরকার/স্থানীয় কর্তৃপক্ষ/ব্যাংক/ডাকঘর/এলআইসি/পিএসইউ কর্তৃক ভারতে জারি করা যেকোনো পরিচয়পত্র/শংসাপত্র/নথিপত্র।

    ৩. উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম সনদ।

    ৪. পাসপোর্ট

    ৫. স্বীকৃত বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত ম্যাট্রিকুলেশন/শিক্ষাগত সার্টিফিকেট।

    ৬. উপযুক্ত রাজ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা স্থায়ী বসবাসের শংসাপত্র

    ৭. বন অধিকার সার্টিফিকেট

    ৮. অন্যান্য বিসি/এসসি/এসটি অথবা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো জাত শংসাপত্র

    ৯. জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (যেখানেই এটি বিদ্যমান)

    ১০. রাজ্য/স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রস্তুত পারিবারিক নিবন্ধন।

    ১১. সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো জমি/বাড়ি বরাদ্দের সার্টিফিকেট

    ১২. আধারের ক্ষেত্রে, কমিশনের ৯.০৯.২০২৫ তারিখের চিঠি নং ২৩/২০২৫-ERS/Vol.II-এর মাধ্যমে জারি করা নির্দেশাবলী প্রযোজ্য হবে।

    ১৩. ০১.০৭.২০২৫ তারিখের বিহার এসআইআর-এর ভোটার তালিকার উদ্ধৃতি।

    প্রসঙ্গত, ২০০২ এর ভোটার তালিকায় যাদের নাম নেই, অথচ তারপরের ভোটার তালিকাগুলোয় নাম রয়েছে, এই ধরনের যেসব ব্যক্তিকে হেয়ারিংয়ে ডাকা হয়েছে,  sir প্রক্রিয়ায় তাদের নাম তোলানোর জন্য প্রামাণ্য নথি হিসেবে গৃহীত হবে CAA সার্টিফিকেট। সেক্ষেত্রে ফর্ম ৬ ফিলাপ করার সময়, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ভারত সরকারের থেকে প্রাপ্ত, CAA সার্টিফিকেট ইস্যু করতে পারবেন তারা।

    এছাড়াও ২০১০ এর OBC সার্টিফিকেট এসআইআর এর নমিনীতে মান্যতা পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে ২৯ ডিসেম্বর বৈঠক সিইও দফতরে। ৩১ ডিসেম্বর হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কমিশন সূত্রে খবর, সিইও ইতিমধ্যেই রাজ্যের ওবিসি সেক্রেটারিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্ট ওবিসি সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছে, তা নিয়েই ওবিসি দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইছে সিইও দপ্তর। সেই অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর ডেট ঠিক করা হয়েছে। যে ১৩ টি নথি প্রামাণ্য নথি হিসেবে গৃহীত হবে। এর মধ্যে ২ নম্বর পয়েন্ট অনুযায়ী সিএএ সার্টিফিকেট প্রামাণ্য নথি হিসেবে গৃহীত হবে। তবে ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)