রকমারি খাবার থেকে কারুকার্য পোশাকের স্টলে ভালো বিক্রি
বর্তমান | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, বোলপুর: নিমকি, ঠেকুয়া বা পাটিসাপ্টার মতো মুখরোচক খাবার থেকে কারুকার্য করা চুড়িদার, কুর্তি, পাঞ্জাবি সহ নানা ধরনের পোশাক রয়েছে স্টলে। এছাড়াও পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ বা মাটির প্লেট সহ নানা সামগ্রী দিয়ে শান্তিনিকেতনে পৌষমেলায় স্টল সাজিয়েছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁদের তৈরি জিনিসপত্র কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। ভালো বিক্রি হওয়ায় খুশি সরকারি সহায়তায় স্টলে বসা মহিলারা। উল্লেখ্য, স্বয়ংসিদ্ধা প্রকল্পের মাধ্যমে গোষ্ঠীর মহিলারা আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। সংসারের হাল ধরতে তাঁদের সুবিধা হচ্ছে।
বোলপুর পুরসভার ২০-২২ জন মহিলা মিলে হাতের কাজের নানা সামগ্রী নিয়ে স্টলে বসেছেন। এই স্টলের নামও স্বয়ংসিদ্ধা। নির্মল, সুস্থ ও স্বনির্ভর বোলপুর গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও মেলাজুড়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের একাধিক স্টল রয়েছে। প্রতিটি স্টলেই কটনের চুড়িদার, কুর্তি, পাঞ্জাবি, চাদর, সালোয়ার কামিজ, স্টোল সহ বিভিন্ন কারুকার্য করা পোশাক বিক্রি হচ্ছে। এমনকি, পরিবেশবান্ধব পাটের তৈরি ব্যাগও বিক্রি হচ্ছে। বড়ি, নিমকি, ঠেকুয়া, পাটিসাপ্টা সহ নানা ধরনের পিঠে, পাঁপড়ের মতো খাবারের সম্ভার রয়েছে। মাটির তৈরি প্লেট, বাটি, পটের ছবির সঙ্গে মহিলাদের নানা অলঙ্কার ঠাঁই পেয়েছে এই স্টলে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাজের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের সরকারিভাবে ঋণ দেওয়া হয়। ওই টাকা থেকেই তাঁরা এসব জিনিস তৈরি করেন। জেলায় সবলা মেলা, হস্তশিল্প মেলাতেও তাঁরা স্টল দেন। বোলপুরের বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজারও জেলার অন্যতম হস্তশিল্প ও কুটিরশিল্প বিপণন কেন্দ্র। এখানেও এই গোষ্ঠীর মহিলারা তাঁদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করেন। এসব সামগ্রী বিক্রির লভ্যাংশের ৬০শতাংশ টাকা তাঁরা পান। বাকি ৪০শতাংশ টাকা সরকারি ফান্ডে জমা দিতে হয়।
শহরের কয়েকশো মহিলা এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীর সভানেত্রী সুপ্রভা রায় ও সদস্যা কৃষ্ণা মণ্ডল, হাসি সাউ সাহা বলেন, গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি সামগ্রী মেলায় ভালো চাহিদা রয়েছে। মেলায় লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী বিক্রি হবে। সরকারিভাবে ফুড প্রেসেসিং নিয়ে ট্রেনিংয়ের উপর জোর দেওয়া হলে আরও নানা ধরনের খাবার স্টলে বিক্রি করা যাবে।